প্রতীকী ছবি
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর অধীনে করা ‘অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২’ এর কয়েকটি বিধি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুই আইনজীবীর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১২ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহ-পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ এর ৭(২), (৪), ৯(৩), ১৫(২)(ক) ও ১৫(২)(চ) বিধি চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ এপ্রিল হাইকোর্টে রিটটি করেন আইনজীবী মার-ইয়াম খন্দকার ও মো. মনোয়ার হোসেন।
পরে আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, বিধিমালার এসব বিধিতে অ্যালকোহল বা মদকে নিয়ন্ত্রণ করার চাইতে উৎসাহিত, সহজলভ্য করা হয়েছে। ফলে এটি সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ পরিপন্থি।
গত ১৮ জানুয়ারি ‘অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২’ জারি করে।
এ বিধিমালায় অ্যালকোহল বা মদ উৎপাদন, কেনাবেচা, পান করা, পরিবহন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি স্পষ্ট করা হয়।
বিধিমালা অনুযায়ী, মদ কেনাবেচা, পান, পরিবহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স, পারমিট ও পাস নিতে হবে। কোথাও কমপক্ষে ১০০ জন মদের পারমিটধারী থাকলে ওই এলাকায় অ্যালকোহল বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে। আর ২০০ জন হলে দেওয়া হবে বারের লাইসেন্স। ২১ বছরের কম বয়সের ব্যক্তি মদপানের অনুমতি পাবেন না।