বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

পঙ্গুত্ববরণের পথে নূর হোসেন উন্নত চিকিৎসার আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৫ আগস্ট ২০২২

পঙ্গুত্ববরণের পথে নূর হোসেন উন্নত চিকিৎসার আবেদন

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেন পায়ের ফোঁড়া রোগে ভুগছেন। সেই সাথে তার ডায়াবেটিসের পরিমাণও অনেক বেড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসা করা না হলে হয়তো পঙ্গুত্ববরণের দিকে এগিয়ে যাবে। যার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছেন তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) তাকে নারায়ণগঞ্জে আনা হলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) সাবিনা ইয়াসমিনের আদালতে এই আবেদন করা হয়েছে। আদালত তার আবেদনের বিষয়টি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে আদেশ দিবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিন নূর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলার যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। সেই সাথে আরও দুইটি মামলায় ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আর এই সময়ে নূর হোসেন আদালতের এজলাসে বসা অবস্থায় ছিলেন।

এ বিষয়ে নূর হোসেনের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বলেন, নূর হোসেনের পায়ে ফোঁড়া হয়েছে। ফোঁড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে পা দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল। আমরা আদালতকে বিষয়টি জানিয়েছি। আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে এজলাসে তাকে বসার অনুমতি দেন।

তিনি আরও বলেন, তার ডায়াবেটিসের পরিমাণও অনেক বেশি। যার কারণে পাঁয়ের ফোঁড়া ভাল হচ্ছে না। এই অবস্থায় আমার আসামী নূর হোসেনের উন্নত চিকিৎসা করা না হলে ভবিষ্যতে পঙ্গুত্ববরণের দিকে এগিয়ে যাবে। সেই সাথে কারা কর্তৃপক্ষেরও উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম হবেন না। তাই আমরা আদালতের কাছে উন্নত চিকিৎসার আবেদন করেছি। আদালত বলেছেন বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তবে সাথে সাথেই আমাদের আদেশ দেননি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ ও ৩১ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশগুলো এক কিলোমিটারের মধ্যে পায়ে ২৪টি করে ইট বোঝাই সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বাঁধা অবস্থায় নদীতে ডোবানো ছিল। পা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা। হাত পেছনে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। মুখ ডাবল পলিথিন দিয়ে গলার কাছে বাঁধা ছিল। পেট ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোজাসুজি ফাড়া ছিল।

এ ঘটনায় হওয়া মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদ- প্রদান করেছেন।