মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

|

চৈত্র ৫ ১৪২৯

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

যা বললেন জাকির খানের আইনজীবী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

যা বললেন জাকির খানের আইনজীবী

ফাইল ছবি

জাকির খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল হোসেন বলেছেন, জাকির খানের বিরুদ্ধে সাব্বির আলম হত্যা মামলাটি ২০০৩ সালের। দীর্ঘদিন পর আজ প্রথম সাক্ষী এসেছেন। তিনি মামলার বাদী। তারপরে আরও সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা-২ আদালতের বিচারক শাম্মী আক্তারের আদালতে সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়। মামলার শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয় মামলার অন্যতম আসামি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে। এসময় জাকির খান ছাড়াও মামলার আরো দুই আসামি নাজির হোসেন ও মোক্তার হোসেনকেও আদালতে হাজির করা হয়।

এসময় তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ একজন সাক্ষীকে উপস্থিত করেছে। তিনি মামলার বাদী। তিনি তার বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জাকির খানের পক্ষে জেরা করেছি আইনগত ভাবে। আজ জেরা শেষ হয়নি। আরও একদিনের জন্য আদালত সময় মঞ্জুর করেছেন। সেদিন সেই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে। আগামী ৬ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

সাব্বির আলম খন্দকার ছিলেন দেশের গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই। তার অপর ভাই মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি।

আসছে শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার ২০ তম বার্ষিকী। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলায় ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে আততায়ীদের গুলিতে তিনি নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের পর তার বড় ভাই তৈমুর আলম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনের তৎকালীন বিএনপি দলীয় এমপি গিয়াসউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। এ চার্জশিটে মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার সিআইডির দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন।

নারাজি পিটিশনে তৈমুর আলম বলেন, ‘গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের মুল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা একটি গোঁজামিলের চার্জশিট দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। ’

এর পর থেকে ৬ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) মামলার শুনানি চলে আসছিল। গত ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে দাখিলকৃত না রাজি পিটিশনটি আবেদন করে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নারাজি পিটিশন প্রত্যাহারের কারণে গিয়াসউদ্দিন এখন আর মামলায় অভিযুক্ত নেই। ফলে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে যে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করেই মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে।