পরি পালং
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কোটি টাকা মূল্যের পরি পালং খাটটি এখনো বিক্রয় হয়নি। খাটটির সামনে গেলে ক্রেতার থেলে দর্শনার্থীদের ভীড় বেসি লক্ষ্য করা গেছে।
দর্শনার্থীরা কেউ কেউ ছবি তুলছেন খাটটির সাথে আবার কেউ কেউ ভিডিও কল দিয়ে পরিবারের সদস্যদের দেখাচ্ছেন। তবে দর্শনার্থীদের এই ভীড় নিয়ে একটুও বিরক্ত নন খাটটির মালিক। এতে তিনি বেশ খুশি।
এদিকে মেলা শেষ হতে আর মাত্র দুই দিন বাকী। এরই মধ্যে তার শখের এই খাটটি বিক্রি করতে না পারলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে জাতীয় যাদুঘরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খাটটির মালিক নুরুন্নবী।
তিনি জানান, আমি আশা করছি খাটটি বিক্রি করতে পারব। তবে যদি বিক্রি করতে না পারি, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এটিকে জাদুঘরে রাখার চেষ্টা করব। আর যদি পালংটি বিক্রি করতে পারি তাহলে এর লভ্যাংশের একটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা দেব।’
নুরুন্নবী পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ি থেকে এ খাট তৈরি করে তিনি মেলায় এনেছেন। শখের বশে তার এ খাট তৈরি করা। এটি তৈরি করতে প্রায় ৩৮ মাস সময় লেগেছে। সেগুন গাছ দিয়ে সম্পূর্ণ হাতে খোদাই করে বানানো হয়েছে এই রাজকীয় খাট।
তিনি আরও জানান, খাটটি তৈরি করতে তার ৫০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে তার । এ কারণেই দাম চাচ্ছেন কোটি টাকা। মেলার ২৮ দিন চলে গেলেও এখনো খাটটি বিক্রি করতে না পারায় মোটেও হতাশ নন মো. নুরুন্নবী।
এ বিষয়ে নুরুন্নবী বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে আসছেন খাটটির ছবি তুলত। এতেই আমি খুব খুশি। যদি শেষ পর্যন্ত খাটটি বিক্রি করা সম্ভব না হয় তাহলে তার এক ইচ্ছা রয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খাটটি জাদুঘরে দিয়ে দিতে চান।
তিনি আরও বলেন, এখনো পর্যন্ত খাটটির দাম উঠেছে ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আশা করছি, মেলার বাকি যে দুদিন রয়েছে এই সময়ে খাটটি বিক্রি করতে পারবো। পরী পালঙ্ক এ খাটে ক্রেতার জন্য উপহার হিসেবে একটি মোটরসাইকেল এবং এক ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার থাকবে বলে জানান তিনি।