প্রতীকী ছবি
গরমে রোদের তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে তা চোখে পরার মতই বটে। ধীরে ধীরে সময় যত বাড়তে থাকে, রোদের তাপমাত্রাও আরও বাড়তে থাকে।
ফলে শরীরে ঘাম হয় প্রচুর এবং যদি অতিরিক্ত পরিমানে ঘাম ঝরে শরীর থেকে তাহলে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। এছাড়াও গরমের কারণে পেটে সমস্যা, হঠাৎ সর্দি লেগে যাওয়ার মতো সমস্যা হচ্ছে অনেকেরই। এছাড়া সমস্যা হতে পারে ত্বকেরও। বিশেষ করে গুমোট গরমে সূর্যের প্রখর তেজের কারণে ত্বকের ভাগ শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই এসময় শরীরের ভেতর এবং বাইরে থেকে নিতে হবে যত্ন। গরমে কিছু অভ্যাসে আনতে হবে পরিবর্তন। নিজেকে সতেজ ও শান্ত রাখতে হবে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
দিনে নয়, রাতে বেড়ান
বাইরে ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে হলে দিনে নয়, সন্ধ্যার পর বের হতে পারেন। সেইসঙ্গে কঠিন ধরনের শরীরচর্চা বাদ দিয়ে হালকা শরীরচর্চা করুন। রাতের বেলা প্রাণায়াম করতে পারেন। শরীরচর্চার কারণে যেন খুব বেশি ঘাম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় থাকে।
মাটির পাত্রে খাবার খান
এসময় প্লাস্টিক বা স্টিলের পাত্রের বদলে মাটির পাত্রে খাবার ও পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। মাটির কলসিতে পানি রাখলে তা ফ্রিজ ছাড়াই আপনাকে ঠান্ডা পানি দেবে।
অল্প মসলার খাবার খান
রান্নার সময় খাবারে মসলার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিন। এই সময়ে অতিরিক্ত তেল, টক, কিংবা অ্যাসিড জাতীয় খাবার খাবেন না। মরিচ, আদা, রসুনের পরিমাণ কমিয়ে রান্না করুন। এই গরমে শরীরও যদি ভেতর থেকে গরম হয়ে যায় তবে মুশকিল হয়ে যাবে। তাই গরমের সময়ে অল্প মসলায় রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ঠান্ডা পানি পান করুন
শীতের সময়ে হালকা গরম পানি পান করার অভ্যাস ছিল, তবে এই সময়ে সেই অভ্যাস ধরে রাখবেন না। এসময় খেতে হবে ঠান্ডা পানি। গরমে হালকা গরম পানি খাবেন না। কারণ এসময় শরীর যত ঠান্ডা রাখা যায় ততই ভালো। মৌরি ও মেথি ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে পান করুন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
গরমে খুব টাইট এবং সিল্ক জাতীয় কাপড়ের জামা পরা বন্ধ করুন। যতটা সম্ভব সুতি এবং সেমি সুতির কাপড়ের পোশাক পরুন। টাইট পোশাকের বদলে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। এতে শরীরের ঘাম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে এবং গরম কম লাগবে।