মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

‘এমন চলতে থাকলে মানুষ বাঁচবে কী খেয়ে’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘এমন চলতে থাকলে মানুষ বাঁচবে কী খেয়ে’

সংগৃহীত

সাত দিন আগে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে এখনও কমেনি। পাড়া- মহল্লার দোকানে লাল ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা।একটি ডিমের জন্য ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১২ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, ডিমের দাম ৭ দিন আগে যে বেড়েছে এখনও কমছে না। শুনছি আরও বাড়তে পারে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ না খেয়ে মরবে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী ও কালশী বাজার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।  

জানা যায়, বর্তমানে বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা। লাল ডিমের হালি ৪৮ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ২১০ টাকা, হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। এছাড়া দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা ও হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

কালশী এলাকার বাসিন্দা রাজীয় সুলতানা বলেন, ডিমের দাম বেড়েছে আর কমছেই না। এছাড়াও বাজারে তো অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রায় সব কিছু সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন টা চলতে থাকলে মানুষ বাঁচবে কী খেয়ে? মানুষের না খেয়ে মরতে হবে।

পল্লী এলাকার বাসিন্দা মো. মানিক ডিমের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলানিউজকে বলেন, সব কিছুর দাম এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। মানুষ এখন ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় গরিব মানুষরা অনেকে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার কি বাজারের খবর রাখেন না?

পল্লবী এলাকার পাটোয়ারী জেনারেল স্টোরের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক পিন্টু পাটোয়ারী বলেন, ৭ দিন আগে যে ডিমের দাম বেড়েছে এখনও কমেনি। লাল ডিমের হালি বিক্রি করছি ৪৮ টাকা। ডজন বিক্রি করছি ১৪৫ টাকা। ডিমের দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।  

তিনি আরও বলেন, পাইকার আর পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা ডিমের দামের বাড়তি লাভ ভোগ করছে। একমাস আগে যখন ডিমের দাম বাড়লো তখন তারা অনেক লাভবান হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা বাজার থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এখনও যে বাড়তি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে এতে লাভবান হচ্ছে পাইকার আর পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা। গত সাত দিনের যা কামানোর তারা কামিয়ে নিয়েছে। সরকার যদি কোন প্রকার অভিযানও দেয় তেমন কোন লাভ হবে না সাধারণ মানুষের। যা টাকা নেওয়ার ব্যবসায়ীরা নিয়ে নিয়েছে বাজার থেকে।

কালশী বাজারের ডিম বিক্রেতা রমজান আলী বাংলানিউজকে বলেন, লাল ডিমের হালি বিক্রি করছি ৪৫ টাকা। ডজন বিক্রি করছি ১৪৫ টাকা। পাইকার ও পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা এ সুযোগে ডিমের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এবারের অজুহাত মুরগির খাদ্যের দাম বেশি বলে দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। এর আগে অজুহাত ছিল পরিবহন খরচ ও বিদ্যুতের অভাবে জেনারেটর চালানোর অজুহাতে বাড়ানো হয়েছিল ডিমের দাম। শুক্রবার থেকে ডিমের দাম ১ থেকে ২ টাকা বাড়তে পারে।