মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

১৭ দিন জেল খাটায় সাক্ষীকে আসামির ১৭ বার জুতাপেটা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৫ জুন ২০২২

১৭ দিন জেল খাটায় সাক্ষীকে আসামির ১৭ বার জুতাপেটা 

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদি ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে ১৭ দিন জেল হাজতে থাকায় জামিনে বের হয়ে ৮৫ বছর বয়সী সাক্ষী হাজি তাহের আলীকে ১৭বার জুতাপেটা করে লাঞ্ছিত করেছে আসামিরা। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

শুক্রবার (২৪ জুন) এ ঘটনায় লাঞ্ছিত মামলার সাক্ষী হাজি তাহের আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় তিনজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

জানা যায়, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে ২০১৪ সালে সাবেক মেম্বার মূছা মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার কামাল মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারির ঘটনা ঘটে।  ওই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মূসা মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় মূসা মিয়ার বিপক্ষে হাজি তাহের আলী আদালতে সাক্ষী প্রদান করেন।  ওই সাক্ষীর কারনে আদালত তাদের ৭ বছরের সাজা প্রদান করেন। ওই মামলায় মূসা ও তার ভাই মোস্তফা মিয়াসহ অন্যান্য আসামিরা ওই রায়ের বিপক্ষে আপিল করেন। ১৭ দিন কারা ভোগের পর গত সপ্তাহে মূসা মিয়া ও মোস্তফা মিয়া জামিনে বের হয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে এ মামলার সাক্ষী হাজি তাহের আলী চা পান করতে দোকানে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মূসা মিয়া তার ভাই মোস্তফা মিয়া ও মো. আনাজ মিয়া তার সঙ্গে তর্কবিতর্ক করে। এক পর্যায়ে আসামি মোস্তফা মিয়া ১৭ দিন কারাভোগ করায় একে একে ১৭বার জুতাপেটা করে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

লাঞ্ছিত হাজি তাহের আলীর ছেলে বারদি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তার বাবার বয়স ৮৫ বছর। ২০১৪ সালের একটি মামলায় তার বাবা আদালতে সত্য সাক্ষী দেয়। ওই সাক্ষীতেই তাদেরও আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এ মামলায় দুজন ১৭ দিন কারাভোগ করেছেন। আপিল করে তারা জামিন পায়। জামিনে বের হয়ে ১৭ দিন কারাভোগ করায় তার বাবাকে মূসা মিয়ার নির্দেশে ১৭টি জুতার বারি দিয়ে লাঞ্ছিত করে। এর আগেও তার বাবাকে তারা পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দিয়েছে। ৪ মাস চিকিংসাধীন ছিলেন তিনি। এখনো পায়ে রড ভর্তি রয়েছে। 

অভিযুক্ত মূসা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাহের আলীর মিথ্যা স্বাক্ষীর কারনে এ মামলায় আদালত আমাদের সাজা প্রদান করে। ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।  তবে ১৭টি নয় মনে হয় দু'চারটি বারি দিয়েছে। 

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, এ বয়সের মানুষকে এভাবে লাঞ্ছিত করা খুবই দুঃখজনক। অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে।  তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।