শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৪ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

এখন জেলায় জেলায় থানায় থানায় মোশতাক : শামীম ওসমান 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২৮ জুন ২০২২

আপডেট: ২৩:০১, ২৮ জুন ২০২২

এখন জেলায় জেলায় থানায় থানায় মোশতাক : শামীম ওসমান 

একেএম শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, শেখ হাসিনা আপনার আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যত। আওয়ামী লীগের ভাল মন্দ সব আছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করব। তিনি যেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন। কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ বার ইলেকশনেও একটা কাউন্টার কমিটি দিয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগের প্যানেল অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে জয়ী হয়েছিল। ওই যে বললাম এখন জেলায় জেলায় থানায় থানায় মোশতাক। তবে এখন মোশতাক মীর জাফর নাম রাখে না। বিভিন্ন নাম রাখে। 

সোমবার (২৮ জুন) আইনজীবী প্রনোদনা তহবিলের চেক হস্তান্তর ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। 

শামীম ওসমান বলেন, আমি যখন ঢুকছিলাম সাংবাদিকেরা আমাকে ধরেছিল। এখানে বিভিন্ন মামলা হয়। আপনারা বলেছেন আইন সব সময় পারফেক্ট হয় না। আমি বলেছিলাম আইনকে আমি এখানে বুঝি যে একজন লোক বিচার না পাক তবে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তারা বার বার আদালতে হাজিরা দিচ্ছে। আমাদের মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাজিরা দিচ্ছে। তাই আমার আপাতত কিছু করার নেই। 

তিনি বলেন, ওরা বসে থাকবে না। ওরা আঘাত করবে। পঁচাত্তরে শেখ হাসিনা আসবে কীনা না জেনেই যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম তারা কষ্ট পাই। সাহসী সাংবাদিকেরা যেন হয়রানির শিকার না হয় তা মাননীয় এটর্নি জেনারেলের প্রতি অনুরোধ। 

আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে হস্তান্তর করে হার্ট ইনিস্টিউট করা হোক। আমি এটাকে নামও দিয়েছি সঠিক হয়েছে কীনা জানি না। আমি চেয়েছিলাম এটা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নামে হবে। ধর্মীয় বাধা না থাকলে এটা হবে। বিশাল এই বিল্ডিংটা পাঁচ বছর যাবৎ পড়ে আছে। এটা হয়ে গেলে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী কৃতজ্ঞ থাকব। 

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু হয়েছে। আজ আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে এটা সেই বাংলাদেশ যেখানে আমরা দেখেছি আজ বিচার মানবাধিকারের কথা হয়। সেদিন শেখ হাসিনাকে ভেতরে ঢুকে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে দেয়নি। উনিশবার তাকে আঘাত করা হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রোডাক্ট। জাহানারা ইমাম ভবন করে আমরা নারায়ণগঞ্জে যুদ্ধাপরাধীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। সেসময় সংসদে আমাকে হুমকী দেয়া হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম সামনে থেকে হামলা করা হবে। তবে তারা পেছন থেকে মারল। বোম বিস্ফোরণে আমার বিশজন মানুষ মারা গেল। আদালতে গিয়ে দেখি যে জবানবন্দি সেটা আমার জবানবন্দি না। 

সামনে একটা আঘাত আসবে। পার্লামেন্টে সেদিন সিনিয়র এমপিরা বলছিল পদ্মা সেতু হয়েছে, চারিদিকে জয়জয়কার। সেদিন আমি বলেছি যে লোক দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে আমরা সাড়ে তিন বছরের মাথায় সেই লোককে হত্যা করেছি এবং মোশতাকের পার্লামেন্টে যোগ দিয়েছি। আগে একশ বছরে একটা মোশতাক জন্ম নিত এখন জেলায় জেলায় মোশতাক। 

আমি একটা জিনিস বলতে চাই। কাল পার্লামেন্টে আমাদের এক মন্ত্রী বলেছেন পদ্মা সেতুতে ৪১ টি পিলার। তবে বাংলাদেশের একটা পিলার সেটা শেখ হাসিনা। বোম ব্লাস্টের পর আমি বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান। খালেদা জিয়া তখন বলেছিলেন, আমরা শেখ হাসিনার পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এই হামলা করিয়েছি। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে তারা বলেছিল আমরাই বোমা মেরেছি। গণতন্ত্র তার সাথেই চর্চা করা যায় যারা গণতন্ত্র বোঝে। 

অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটর্নী জেনারেল অ্যাডভোকেট এ. এম. আমিনউদ্দিন, আইন ও বিচার বিভাগীয় সচিব মোঃ গোলাম সারোয়ার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মোঃ নাজিবুল্লাহ হিরু, হিউম্যান রাইট ও লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মোখলেছুর রহমান বাদল, বার কাউন্সিলের সদস্য মোঃ রবিউল আলম বুদু, মোঃ সাঈদ আহমেদ রাজা, আব্দুল বাতেন, জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান, বিচারক নাজমুল হক শ্যামল, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস, জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।