শামীম ওসমান
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্বপ্নে দেখা পদ্মা সেতু আজ বাস্তব। শুরু হয়েছে যান চলাচল। অবসান হয়েছে দীর্ঘ দিনের জনভোগান্তির। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে। তাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান তাকে বাংলাদেশের পিলার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) আইনজীবী প্রণোদনা তহবিলের চেক হস্তান্তর ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে এ আখ্যা দেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, পদ্মা সেতু হয়েছে। আজ আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাল (সোমবার ২৭ জুন) পার্লামেন্টে আমাদের এক মন্ত্রী বলেছেন পদ্মা সেতুতে ৪১টি পিলার। তবে বাংলাদেশের একটা পিলার সেটা শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধানকে সাধারণ জনগণ ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ বলেও মন্তব্য করেন শামীম। এ সময় তার জন্য দোয়াও চান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ বার কাউন্সিলের নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্যানেল অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে জয়ী হয়েছে। এ সময় ওই প্যানেলের সবাইকে তিনি সাধুবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমি যখন ঢুকছিলাম সাংবাদিকরা আমাকে ধরেছিলেন। এখানে বিভিন্ন মামলা হয়। আপনারা বলেছেন, আইন সব সময় পারফেক্ট হয় না। আমি বলেছিলাম, আইনকে আমি এখানে বুঝি যে একজন লোক বিচার না পাক তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তারা বার বার আদালতে হাজিরা দিচ্ছে। আমাদের মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এ আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ওরা বসে থাকবে না। ওরা আঘাত করবে। পঁচাত্তরে শেখ হাসিনা আসবেন কিনা, না জেনেই যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম তারা কষ্ট পাই। সাহসী সাংবাদিকরা যেন হয়রানির শিকার না হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি সে ব্যাপারে অনুরোধ জানান শামীম ওসমান।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ. এম. আমিনউদ্দিন, আইন ও বিচার বিভাগীয় সচিব মো. গোলাম সারোয়ার।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. নাজিবুল্লাহ হিরু, হিউম্যান রাইট ও লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমান বাদল, বার কাউন্সিলের সদস্য মো. রবিউল আলম বুদু, মো. সাঈদ আহমেদ রাজা, আব্দুল বাতেন, জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, বিচারক নাজমুল হক শ্যামল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।