শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৫ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

না.গঞ্জে ১৫ দিনে ৭ থানায় বিএনপির ৯৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১০ মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২ ডিসেম্বর ২০২২

না.গঞ্জে ১৫ দিনে ৭ থানায় বিএনপির ৯৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১০ মামলা

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জে গত ১৫ দিনে বিএনপির ৯৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জেলার ৭ থানায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ টি মামলার বাদী পুলিশ, দুটির বাদী ছাত্রলীগ ও একটির বাদী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।

এর মধ্যে বৃহস্পতবার (১ ডিসেম্বর) হয়েছে তিনটি মামলা। মামলাগুলোকে গায়েবি মামলা বলছে বিএনপি।  

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় বিএনপির ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি, জামায়তে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের ২১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক দেবাশিষ কুন্ডু বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দায়ের করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় বিএনপির ৯৪ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী ফেরদৌস বাদী হয়ে ১৪ নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করে।

রূপগঞ্জে সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগকর্মী রাশেদুল প্রধান। রূপগঞ্জ বিএনপির ১১৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছেন ছাত্রলীগের এ কর্মী। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।  

সিদ্ধিরগঞ্জে রোববার (২৭ নভেম্বর) পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপের করার অভিযোগে বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন।

আড়াইহাজার থানায় রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন বাদী হয়ে বিএনপির ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরও ৫০ থেকে ১০০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।

ফতুল্লায় সোমবার (২১ নভেম্বর) দিনগত রাতে এসআই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কসহ দলটির ও এর সহযোগি সংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বন্দরে শনিবার (১৯ নভেম্বর) ছাত্রলীগ কর্মী মো. সোহেল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা করেন। মামলায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে প্রধান আসামি করে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোনারগাঁয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে মেঘনা শিল্পাঞ্চল শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও তার ছোট ভাই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলসহ প্রায় ১৫ জনকে।

এদিকে ২১ নভেম্বরের ফতুল্লা থানার মামলার ৩৩ নম্বর আসামি ইসহাক ইসলাম ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। তিনি ৭ মাস আগে উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে যান। এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় প্রবাসী নেতাকে নামীয় আসামি করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, এসব মামলার সবগুলোই সাজানো এবং শুধুমাত্র ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করতে দায়ের করা হয়েছে। এসব মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করতে চায় সরকার। কোনভাবেই এসব মামলা হামলা করে সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের ঢল ঠেকাতে পারবেনা সরকার।