শামীম ওসমান
সকল অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, এই বছরটা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্রাইসেসের বছর। সকল অশুভ শক্তি, ষড়যন্ত্রকারী এক হয়েছে, ওরা কামড় দিবে বলে। আর আমরা জাতির পিতার সৈনিকরা ওই সব অশুভ শক্তির সমস্ত বিষ দাত ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবো।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের প্রচারণা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বাসঘাতক এবং ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতক এবং ষড়যন্ত্রকারী এক হয়ে জাতির পিতার কণ্যকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। আগে হাজার বছরে একটা বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আগে শত বছরে একটা করে খন্দকার মোস্তাক সৃষ্টি হতো, আর এখন জেলায় জেলায় খন্দকার মোস্তাকের জন্ম হয়। এরা সবাই খুব ভয়ংঙ্কর।
বিএনপির নেতাকর্মীদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন. আমাদের বহু নেতাকর্মীকে বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এগুলো যদি আমাদের মনে পড়ে যায় তাহলে আপনাদের জন্য নারায়ণগঞ্জে বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা ধৈর্য্য ধরেছি, কিন্তু দুর্বল না। আমরা আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি এবং জনগণের কাছে বিচার দিয়েছি। আপনারা যেই অপরাধ করেছেন, তার জন্য জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং নারায়ণগঞ্জ বার সহ সব জায়গায় রায় দিয়েছে।
বিএনপি দলটির সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেছেন, কয়দিন আগে বিএনপি এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করলো যে, তারা ক্ষমতায় চলে আসছে- চলে আসবে। ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) এ হবে সে হবে। আমি বলেছিলাম, ঘোড়ার ডিমটা হবে। এখনো বলছি ঘোড়ার ডিম না, কোনো ডিমই হবে না ওদের। ঘোড়াও ডিম পাড়বে না ওদের জন্য। ওদের দিন শেষ।
নারায়ণগঞ্জ বারের নেতৃবৃন্দদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের জন্য আগামীতে এই বারকে ভুমিকা রাখতে হবে। প্রেসক্লাব, ব্যবসায়ীক ইউনিয়ন, সামাজিক শক্তিগুলোকে একত্রিত করে নারায়ণগঞ্জের অগ্রগতির জন্য কাজ করতে হবে। খারাপ শক্তিকে প্রতিহত করতে ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদেরকে আগামীকে ভূমিকা রাখতে হবে। এ জেলার মানুষজন আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। আপনাদের দায়িত্ব হয়েছে শুধুমাত্র বারের জন্য নয়, পুরো নারায়ণগঞ্জের জন্য কাজ করার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জজ ও দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মনিরুজ্জামান বুলবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়ন আইনজীবী খোকন সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের সভাপতি পদপ্রার্থী হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মোহসীন মিয়া সহ আরও অনেকে।