অ্যাডভোকেট খোকন সাহা
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেছেন, উন্নয়নে দেশ ছেয়ে গেছে। সারা দেশে উন্নয়ন হয়েছে। ফ্লাইওভার ও ব্রিজে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিনা পয়সায় নেত্রী তৃতীয় ডোজ পর্যন্ত ভ্যাকসিন দিয়েছেন। চল্লিশ হাজার কোটি টাকা ব্যায় করে নেত্রী ভ্যাকসিন দিয়েছে। আমরা প্রচার করি না। সারা পৃথিবীতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন কোন দেশ দেয়নি। বিভিন্ন ভাতায় ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আজ বিশ বছর পরে এই সম্মেলন হচ্ছে। আমাদের আজকের এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামীতে যারা এই ওয়ার্ডের নেতৃত্বে আসবে তারা নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্ব দিবে। আমি এবং আমার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন আমরা এই ওয়ার্ডের সন্তান।
জোট সরকারের আমলে এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হয়েও সরকারি দল ও প্রশাসনের অত্যাচারে আমি এই এলাকায় থাকতে পারিনি। আশেপাশের এলাকার নেতাকর্মীরা আমার মাকে সান্তনা দিত। আমি আমার মায়ের চিকিৎসা করাতে পারিনি। সে সময় আন্দোলন সংগ্রামে এই ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি চাইলে ঢাকার গুলশানে বসবাস করতে পারি। আমার বন্ধুরা থাকে। কিন্তু এই এলাকার মাটি ও মানুষকে ভালবেসে আমি এখানে থেকে গিয়েছি।
আনোয়ার ভাই তার মেয়েদের রাজনীতিতে আনেননি। আমার একমাত্র সন্তান বিদেশে থাকে। সে জীবনেও রাজনীতিতে আসবে না। আনোয়ার ভাই আর আমার কোন ওয়ারিশ নেই। এই এলাকার মানুষ আমাদের ওয়ারিশ। আমাদের মৃত্যুর পর আপনারা আমাদের স্মরণ করবেন এটা আমরা চাই। আমরা দলকে বিক্রি করি না। তাই নেত্রী আমাদের দুই ভাইকে রেখেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এক সময় বিদ্যুৎ থাকত না। নেত্রী বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করেছেন। রেন্টার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমাদের সরকার আট টাকা লিটার তেল দিত। সে সময় পঞ্চাশ টাকা লিটার তেল। তাদের কাছ থেকে আঠারো টাকায় বিদ্যুৎ কিনতেন এবং আমাদের দিতেন সাত থেকে এগারো টাকায়। অনেক ভর্তুকি দিয়ে তিনি বিদ্যুৎ দিয়েছেন। আর বিদ্যুতের বদলে তারেক জিয়া খাম্বা কিনেছিল।
এসময় মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।