বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১০ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাঙালির স্বার্থের কথা বলেছিলেন : আনোয়ার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাঙালির স্বার্থের কথা বলেছিলেন : আনোয়ার

আনোয়ার হোসেন

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, যুদ্ধের সময় মেজর জিয়াকে মেজর রফিক বলেছিল আমি বর্ডার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করি আপনি শহর নিয়ন্ত্রণ করুন। তিনি তা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি যখন চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিলেন সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। জিয়াউর রহমান কোনদিন নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেননি। আজ তার দোষররা তাকে ঘোষক দাবী করে। 

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। 

আনোয়ার বলেন, আজ তারা পাকিস্তানি কায়দায় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ চালু করেছে। বাংলাদেশ বেতারকে তারা পাকিস্তানি কায়দায় বানালো রেডিও বাংলাদেশ। ৭৫ এর পর তারা ইনডেমনিটি বিল পাশ করল যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাংলাদেশের কোন আদালতে করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু দালাল আইন করেছিলেন রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেই আইন বাতিল করে তাদের মুক্ত করো দিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে তারা ধ্বংস করে দিল। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম রোজ গার্ডেনে। তবে সেই সভাটি বঙ্গবন্ধু হীরা মহলে করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেখানে সিকিউরিটির অভাব হওয়ায় সেদিন বঙ্গবন্ধু বিক্রমপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে নিয়েছিলেন। তখন এই এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা তাকে মিউচুয়াল ক্লাবে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। তাই মিউচুয়াল ক্লাবটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নেতৃত্ব আসবে যাবে। যদি আমরা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারি তাহলে এই সম্মেলন বৃথা হয়ে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। একসময় বঙ্গবন্ধু গর্জে উঠলেন। বাংলাদেশকে যেন শোষণ করা না যায় সেই লক্ষ্যে তিনি গর্জে উঠলেন। এক সময় বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি করে তারা বলেছিল তোমাকে ফাঁসি দেয়া হবে। তিনি বলেছিলেন আমার লাশটুকু বাঙালিদের কাছে পৌঁছে দিও। ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাঙালির স্বার্থের কথা বলেছিলেন। আমরা সেই নেতার দল করি। তিনি কোনদিন আপোষ করেননি৷ 

একদিন দুইদিনে স্বাধীনতা হয়নি। অনেকে বলে নয় মাসে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাহলে কী ভাষা আন্দোলন ছয় দফা আন্দোলন বৃথা হয়ে যাবে। জাতির জনক দীর্ঘদিন ধারাবাহিক রাজনীতি করেছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রমান হয়েছে তিনি বাংলাদেশের নেতা। সেসময় অনেক নেতা বলেছিলেন ব্যালট বক্সে লাথি মারো বাংলাদেশ স্বাধীন করো। অথচ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন চালাতে হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি তা প্রমান করেন। পরে তিনি সাত মার্চ ভাষণ দেন। এই হল স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস।

২৫ মার্চ অনেকে বলেছিল বঙ্গবন্ধু আপনি পালিয়ে যান। তিনি বলেছিলেন আমি বাঙালির নেতা আমি পালিয়ে যেতে পারি না। আমার মৃত্যু হলে এই ধানমন্ডির ২৩ নম্বরে হবে কিন্তু আমি পালিয়ে যেতে পারি না।

নেত্রী যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বাংলার মাটিতে পদার্পণ করলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন এই বাংলার মানুষের মাঝে আমি আমার বাবা মা ভাইদের খুঁজে পাই। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে তিনি সরকার গঠন করলেন।

এসময় মহানগর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।