বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বন্দরে মেডিকেল অফিসারের অনৈতিক কর্মকান্ডে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২১ জুন ২০২২

বন্দরে মেডিকেল অফিসারের অনৈতিক কর্মকান্ডে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী

প্রতীকী ছবি

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ উম্মে হাবিবা আরজু ও অপর মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ফুসে উঠছে সাধারন জনগন। গনমাধ্যমের কাছে  এমন কথা জানিয়েছে ভ’ক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী । এ ব্যাপারে আহত মুন্নার পিতা রজ্জব আলী ও তার পরিবার কান্না জনিত কন্ঠে  ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমকে আরো জানিয়েছে, টাকা পেলে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সবই করতে পারে। এর উদারন আমি নিজেই। গত ১০ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় আমার ছেলে মুন্নাকে বেদম ভাবে মারপিট করে তার ৯টি দাঁত ফেলে দেয়। আমি আমার ছেলেকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করি। এ ব্যাপারে আমি গত ২১ এপ্রিল বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করি। পরর্বতিতে গত ২৪ এপ্রিল মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মেহেদী ডাক্তারী সনদপত্র পাওয়ার জন্য ১২৭৭ নং স্মরকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাবর লিখিত ভাবে আবেদন করে। পরির্বতিতে আমি মেডিকেল রির্পোট নেওয়ার জন্য আমি উল্লেখিত ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি তাদের চাহিদা মতাবেক টাকা দিতে না পারায় আমার মামলার বিবাদীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমাকে একটি নরমাল মেডিকেল সনদপত্র দেয়। যা অত্যন্ত দুঃজনক। বিবাদীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করে নিরিহ বাদীকে সাধারন মেডিকেল সনদপত্র দেওয়ার ঘটনায় র্তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভ’ক্তভোগী বাদীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ উম্মে হাবিবা আরজু ও ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগোযোগের চেষ্টা কলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।   

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল দুপুর দেড়টায় বন্দর থানার ২৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন লক্ষনখোলা সাবেক পৌরসভা মাঠে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার সহিদ মিয়ার ছেলে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী রাহাদ, একই এলাকার মহসিন মিয়ার ছেলে রানা, বখতিয়ার মিয়ার ছেলে রাফিন, অপু মিয়ার ছেলে আবির,া মিয়ার ছেলে শ্রাবন, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাকিব, একই এলাকার সিফাত, আশিক ও সামীসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প নিয়ে একই থানার চৌরাপাড়া সমবাড়িয়া বাজার এলাকার রজ্জব আলী মিয়ার ছেলে মুন্না একই এলাকার মিজান মিয়ার ছেলে ইয়াসিন শফিক মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম ও একই এলাকার হাবিবুর মিয়ার ছেলে ইয়াসিনের উপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা মুন্নাকে বেদম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৯টি দাঁত ফেলে দেয়। ওই সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় হামলাকারিরা মুন্নার বন্ধু ইয়াসিন, রাকিবুল ও ইয়াসিনকে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।