নারায়ণগঞ্জ শহরের কলেজ রোড, টানবাজার, জামতলা, গলাচিপাসহ বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের লাইন থেকে তীব্র গ্যাসের গন্ধ বের হচ্ছে। সংযোগগুলোর লিকেজ থেকেই এমন গ্যাস বের হচ্ছে বলে ধারণা সকলের।
রোববার (১৭ মে) বিকেল থেকেই গ্যাস নির্গত হতে থাকে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ও এলাকায় এলাকায়। রাত বাড়তে থাকার সাথে সাথে বাড়ে গ্যাসের গন্ধের তীব্রতা।
শহরের কলেজ রোড এলাকার দেওয়ান মঞ্জিল এমন গ্যাস বের হয়। পরে সেখানে কয়েকটি রাইজার বন্ধ করে দেন ভবনের নিরাপত্তা কর্মী আলী। এর আগে ভবনের বাসিন্দারা খুজেও গ্যাসের সমস্যা সমাধানের কাউকে পাননি বলে জানান।
এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এ সমস্যা আর কারো হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন অনেকেই।
তন্ময় সাহা নামে একজন লিখেন, নারায়ণগঞ্জ এর বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাওয়া যাইতাছে। সাথে অনেক বাসায় ও সমাধানের উপায় জানা থাকলে সাহায্য করেন।
নাজমুল ইসলাম টিপু নামে একজন লিখেন, নারায়ণগঞ্জের অনেক এলাকায়ই গ্যাস লাইন থেকে প্রচুর গ্যাস লিকেজ হয়ে বিকট গন্ধ বের হচ্ছে। গ্যাস অফিসের ওরা কি করছে কে জানে? নাকি তল্লার সেই মসজিদের মতো, বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণ না ঝড়লে, তাদের টনক নড়বে না। সাবধান হউন।
সাদিক আল মামুন নামে একজন লিখেন, সম্ভবত পুরা নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই মোটামুটি সব যায়গায় গ্যাস লিক হয়ে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। তাই দুর্ঘটনা থেজে বাঁচার জন্য একদমই চুলা জালানো থেকে বিরত থাকুন। নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচান।
তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা জোনেত ম্যানেজার প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে এরকম তথ্য বা অভিযোগ নেই। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা অভিযোগস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেব।
ফায়ার সার্ভিসের মন্ডলপাড়া স্টেশনের ফায়ারম্যান নাইমুল ইসলাম জানান, আমরা এখন প্রায়শই গ্যাসের এরকম আগুন নেভাচ্ছি। গ্যাস লাইনগুলোর লিকেজ থেকে গ্যাস বের হলে সেখানে দাহ্য কিছুর সংস্পর্শ আসলে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। গ্যাসের লিকেজ তো আমরা মেরামত করতে পারবোনা, তিতাসকেই এটি সমাধান করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ পোস্ট