বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১০ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে পুণ্যার্থীর ঢল, উৎসবমুখর লাঙ্গলবন্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:০৩, ৯ এপ্রিল ২০২২

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে পুণ্যার্থীর ঢল, উৎসবমুখর লাঙ্গলবন্দ

মহাষ্টমী স্নানোৎসব

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী স্নানোৎসবে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। করোনার কারণে দুই বছর স্নানোৎসব না হওয়ায় এবার ১০ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার (০৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সরেজমিনে স্নান ঘাট ঘুরে দেখা যায়, এবার নদের ১৮টি ঘাটে স্নানোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্পটে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বসানো হয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ঘাটে রয়েছে পুলিশের টহল টিম। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সর সদস্যরা নদে ও সড়কে অবস্থান করছেন। এছাড়াও মোবাইল কোর্ট ও সাদা পোশাকে পুলিশ টহল দিচ্ছে।

পুণ্যার্থীরা ফুল, বেলপাতা, ধান, দুর্বা, হরিতকি, ডাব, আম্রপল্লব, ফলসহ স্নান করতে ব্রহ্মপুত্র নদে নামছেন। ‘হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লোহিত্য আমার পাপ হরণ কর’— মন্ত্র পাঠ করে ডুব দিচ্ছেন। ’ এছাড়াও স্নানঘাটগুলোতে হচ্ছে বাসন্তী পূজা।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টা ১১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে স্নান লগ্ন শুরু হয়। আর শেষ হবে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে। এসময়ে মধ্যে লাঙ্গলবন্দের আয়োজিত ঘাটগুলোতে তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন।

এদিকে স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে তিন কিলোমিটার এলাকায় নদের তীরে বসেছে মেলা। মেলায় চুড়ি, ফিতা, আলতা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের শীতল পাটি, মাটির তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র, খেলনা, একতারা, ঢোল বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে আছে নিমকি, পিঠা, মিষ্টি, সন্দেশসহ রকমারি খাবারের দোকান।

স্নানোৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন জেলা থেকে আগতদের যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি ষড়জ কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর ৮-১০ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। দুই বছর করোনা মহামারিতে বন্ধ থাকা ও সপ্তাহের ছুটির দিন হওয়ায় ভক্ত সমাগম বেশি হয়েছে। এই পুণ্যার্থীদের জন্য ৪০টি সেবাক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রসাদ, জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সেবায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা আছেন। সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্য প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোও আছে।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল বাংলানিউজকে বলেন, এখানে ১৫০০ এর অধিক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রছে। ওয়াচ টাওয়ারসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ টহল দিচ্ছে। এছাড়াও নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, কোস্টগার্ডও কাজ করছে।