প্রতীকী ছবি
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আরবি মাসের দিনক্ষণ ঠিক করছে বলে দাবি করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আওয়াল হাওলাদার।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।
চাঁদ দেখতে এখনও কেন সনাতনপ্রথা ব্যবহার করা হয় বাংলানিউজ প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল আওয়াল হাওলাদার বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্পারশো’র সমন্বয়ে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফারুক আহমেদ বলেন, প্রতিটি জেলায় দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে চাঁদ দেখা শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আছাদুর রহমান জানান, বাংলাদেশে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২০টি কেন্দ্র থেকে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে চাঁদ দেখে সে সকল প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়।
সাধারণ মানুষ চাঁদ দেখে জানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, সাধারণ মানুষের ধর্মীয় আবেগের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়।
একটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির কেউ চাঁদ দেখেন না’ শীর্ষক প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা সেটির উত্তর এড়িয়ে যান।
জানা গেছে, শুক্রবারের সভায় ১৭ কর্মকর্তার উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৫ জন। বাকি ১২ কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় তাদের প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের ব্যানারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তার বদলে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আওয়াল হাওলাদার।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফারুক আহমেদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার এডিসি (সাধারণ) ইলিয়াস মেহেদী, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আছাদুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক সিরাজুল হক ভুঞা, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের সহকারী প্রশাসক শাহরিয়ার হক, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ।