ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নালিশ দেয়ার কথা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা বিমল দত্ত।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে একথা জানান তিনি।
বিমল দত্ত ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তবে সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে তাকে পরিকল্পিত ভাবে ফেল করানো হয়েছে বলে দাবী এই নেতার।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিমল লেখেন, আমাকে একটি ভোটের কারণে ফেল করতে হলো। আমি ১৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বিশাল শো-ডাউন করেছি। আমি জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং শহর যুবলীগের সদস্য ছিলাম। বিগত দিনের রাজনীতি ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে পুলিশের নির্যাতন জেল ভোগ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মূল থেকে নেতা নির্বাচিত হবেন। আমাদের নারায়ণগঞ্জের একেএম শামীম ওসমান সাহেব বলেছেন তৃণমূল থেকে নেতা নির্বাচিত করতে হবে। আসলে এসব ডাহা মিথ্যা কথা। আমাকে দিয়ে বিবেচনা করুন। আমাকে পরিকল্পিতভাবে একটি ভোটের কারণে ফেল করতে হলো। এটা কোন অবস্থায় আমি মেনে নিতে পারছি না।
তিনি আরও জানান, ৭৪ সাল থেকে বংশাল প্রাইমারি প্রাইমারি স্কুল এ কে এম শামসুজ্জোহা ভাইকে সংবর্ধনার মাধ্যমে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি। তারপর আলী আহমদ চুনকা ভাই, আনসার এবং মফিজ ভাই এবং অধ্যাপিকা নাজমা রহমান এদের সাথে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি। সব ইলেকশনেই আমার জোরালো ভুমিকা ছিল এবং রাজপথে আমি ছিলাম। পুলিশের নির্যাতন, জেল খেটেছি। একেএম শামীম ওসমান সাথেও রাজনীতি করেছি এবং ক্রিকেট খেলেছি। যেকোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে আমার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বর্তমানে আমার শ্রদ্ধেয় নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন এবং খোকন সাহা এবং ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। আমার রাজনীতিক প্রোফাইল দেখুন আপনারা হতবাক হয়ে যাবেন। ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ, হ্যাটট্রিক ফুটবলে করেছি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমার অংশগ্রহণ রয়েছে। তবে অন্যায়কে আমি মেনে নিতে পারছি না পারবো না। আশা করি তৃণমূলকে যথাযথভাবে উপযুক্ত সম্মানে ভূষিত করুন তৃণমূল কর্মীদের নতুবা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে যাব।