মামুনুল হক বলেন, আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরি হুজুরের নির্দেশে আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধি দল আবদুল আউয়াল হুজুরের সাথে দেখা করতে এখানে এসেছি। কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল আমরা তা মীমাংসা করেছি। আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষীতে আবদুল আউয়াল হুজুর তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন।
বুধবার (৩১ মার্চ) মাওলানা আবদুল আউয়ালের সাথে দীর্ঘ সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে এ কথা জানান তিনি।
এসময় গাড়ি পোড়ানো ও সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম কোন প্রকার সহিংসতায় বিশ্বাসী নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি, মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি। অনেক জায়গায় হেফাজতের দায়িত্বশীলদের রাজপথ থেকে উৎখাত করতে প্রশাসন উদ্যত হয়েছে। সেখান থেকে কোথাও কোথাও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তা হেফাজতের পক্ষ থেকে করা হয় নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রামবাসী ও মৃতের আত্মীয়স্বজনরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিল। সেটা থেকেই স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সঞ্চার হয়ে থাকতে পারে। তার দায় হেফাজতের না।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে সবসময় ভাল সম্পর্ক রাখতে চায় এবং তা আছে। ব্যাক্তি পর্যায়ে কেউ ভুল বুঝে কোন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে তবে তার সাথে দায়িত্বশীলদের কোন সম্পর্ক নেই।
বন্দুকের নলে, গায়ের জোরে জনগনের বিরুদ্ধে কোন অবস্থান না নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ পোস্ট