করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এবার অনেকটা ঘরবন্দি ঈদ কেটেছে নগরবাসীর। কার্যত লকডাউনের মধ্যেই ঈদ পালন করতে হয়েছে সবাইকে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদের বিকেলে অনেকেই মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে সন্তান ও পরিবার নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। যদিও সেসময় প্রয়োজন ব্যতিত ঘরেই বাইরে বের হওয়া নিষেধ ছিল।
এমন ব্যতিক্রম ঈদ পালন আগে কখনো করা হয়নি নারায়ণগঞ্জবাসীর।
এবার একেবারেই ছুটি ছিলনা পুলিশ সদস্যদের। করোনাকালীন এ সময়ে একেবারে সম্মুখে থেকে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ঈদে নগরবাসীতে স্বস্তি দিতে যুদ্ধ করতে হয় তাদের। করোয়ার শুরু থেকেই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, লকডাউন নিশ্চিত ও মানুষের সেবায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ নানা কাজ করতে হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। এ কাজে সরাসরি অংশ নিতে গিয়ে শতাধিক পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হলেও কার্যক্রমের গতি আরো বেড়েছে।
এবার ঈদগাহে হয়নি ঈদের জামাত। প্রতিটি মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে হয়েছে ঈদ জামাত। সেখানেই নামাজ আদায় করে দূর থেকেই একে অন্যের সাথে কুশল বিনিময় করে বাড়ি ফিরেছেন।
প্রতি ঈদেই শহরে উৎসবমূখর পরিবেশ থাকলেও এবার ছিল সুনসান নীরবতা। একেবারেই ব্যস্ত চাষাঢ়া নগরীর সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। ছিলনা তেমন উৎসবের আমেজ। তবে এবার ঈদে সকলেই পরিবারকে সময় দিয়েছেন এবং পরিবারের সাথে ঘরেই ঈদ উদযাপন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ পোস্ট