ফাইল ছবি
নারায়াণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় গ্রীনজিল চাইনিজ নামে একটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে মারধোর করে প্রাণের হুমকি দেওয়ায় সাত জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রুবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া ক্যানেলপাড় কেরেত আলী রোডস্থ এলাকায় গ্রীনজিল চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী মোঃ সাগর (২৬) নিজে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, মিজমিজি ক্যানেলপাড় এলাকার মোঃ শুক্কুর আলীর ছেলে মোঃ কাওছার (২২), মোঃ শাহাবুদ্দিনের ছেলে মোঃ রুহুল (৪০), মোঃ জয়নালের ছেলে মোঃ ফয়সাল (২৩), শাহাবুদ্দিনের ছেলে মোঃ শুক্কুর আলী (৪৫) মোঃ আবুলের ছেলে মোঃ রাব্বি (২২), ও বরিশাইল্যা রাব্বি ও মোঃ আসাদ (২৩)।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে রেস্টুরেন্টে ম্যানেজারের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। তবে গতকাল ফের চাঁদাদাবী করলে চাঁদা না দেওয়ায় অভিযুক্তরা বাদীকে এলোপাথারি কিল ঘুষি মেরে শরীরের ভিবিন্ন জায়গায় লীলাফুলা জখম করে এবং প্রানের হুমকি প্রধান করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে কর্মচারী মোঃ তাইম (১৯) এগিয়ে আসলে উক্ত বিবাদীরা তাকেও মারধর করে বাম চোখের উপরে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ভুক্তভোগীদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে ১নং বিবাদী মোঃ কাওছার ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও ২ নং বিবাদী কর্মচারী তাইমের মোবাইল ফোন জোর করে নিয়ে যায়। এসময় অভিযুক্তরা বলেন তাদের দাবিকৃত চাঁদা প্রদান না করিলে এ এলাকায় ব্যবসা করতে দিবে না।
স্থানীয় সুত্রে জানা, অভিযুক্ত দুজন সাবেক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী । তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রওশন চেয়ারম্যানের ছায়াতলে থেকে এলাকা চাঁদাবাজসহ নানা অপকর্ম করে থাকেন।
এবং ১নং বিবাদী কাওছার ও ৩নং বিবাদী ফয়সালসহ বাকিরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের কর্মী। এলাকায় আধিপত্য বিস্তাররে করে অসহায় মানুষজনের থেকে চাঁদা নেয় তারা।
মিজমিজি এলাকার বাসিন্দারা জানান, দূরদূরান্ত থেকে কেউ এখানে জায়গা কিনে বাড়ি করতে গেলেই চাঁদা দিতে হয় অভিযুক্তদের। চাঁদা না দিলে বিভিন্ন হয়রানির শিকারও হন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।