ফুটপাতের দোকান
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বঙ্গবন্ধু সড়ক, ডিআইটি, কালিরবাজার, ফলপট্টি, ২ নং রেলগেট, দেওভোগ ও খানপুরে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে তাতে বাতি জ্বালিয়ে চলছে হাজারো ফুটপাতের দোকান। রাত ৮ টার পর দোকানপাট বন্ধ করা হলেও এসব ফুটপাতের দোকান চলে রাত ১০ টা, ১১ টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে বুধবার রাতে দেখা যায়, নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক, কালিরবাজার, টানবাজার, ফলপট্টি, ২ নং রেলগেটের অস্থায়ী দোকান, দেওভোগের অস্থায়ী দোকান ও খাবারের দোকান, খানপুরের অস্থায়ী দোকানগুলোতে চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বাতি। কোন কোন দোকানে চলছে ফ্যান। এরই মধ্যে বেজে উঠে রাত ৮ টা। তখন সকল দোকান বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসন ও বিদ্যতের কর্মকর্তাদের দেখা যায় নির্দেশনা দিতে। এসময় সকল দোকান বন্ধ হলেও খোলা থাকে এসব অস্থায়ী দোকান যেখানে চলে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ।
শহরের একাধিক মার্কেটের দোকানিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা বৈধ বিল দিয়ে বিদ্যুৎ চালাই তাও আমাদের দোকান ৮ টায় বন্ধ করে দিতে হয় অথচ এভাবে অবৈধ বিদ্যুৎ যারা চালান তাদের কোন কিছুই হয়না। তাদের তো দেখি রাত ১১ টা পর্যন্ত দোকানদারি করতে।
শহরের সমবায় মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয় অবশ্যই আমরা করবো তবে এভাবে যারা অবৈধ বিদ্যুৎ দিয়ে রাতভর দোকান চালায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
অস্থায়ী একাধিক দোকানির সাথে কথা হলে তারা জানান, এভাবে তো চালাই না আমরা টাকা দিয়েই চালাই। বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান এখানে এসে আমাদের থেকে টাকা নিয়ে যান প্রতিদিন। ১ লাইটে ২০ টাকা করে দেই ছোট দোকানে। বড় দোকানে ১শ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
এর মধ্যে ব্যাটারি চালিত বাতি দিয়ে দোকান চালানো এক হকার জানান, আমি প্রতিদিন ৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে নূর মসজিদের পাশ থেকে ব্যাটারি ভাড়া এনে বাতি জালাই। আমার আশেপাশের সবাই অবৈধ চালায়। এতে তাদের খরচ কম হয় হয়তো। তবে অবৈধ বাতি একদিকে যেমন বিদ্যুৎ অপচয় করায় অন্যদিকে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। কারণ একটা চিকন তারে এই বাতি লাগানো হয়।
নগরীর সমবায় মার্কেট থেকে খাজা পর্যন্ত মার্কেটের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে দেখা যায়, চিকন তারে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে লাইন নিয়ে লাইন টানা। এই লাইন থেকে বাতি ফ্যান এসব চালাচ্ছেন অস্থায়ী দোকানিরা। প্রতিটি স্থানেই এভাবে লাইন টানা রয়েছে। দ্রুত এ ধরনের লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি উঠেছে।