
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ড এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফেসবুকে এক নারীর সঙ্গে পরিচয়ের পর দেখা করতে গিয়ে অপহৃত হয় ওই শিক্ষার্থী। তার নাম মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২)। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ ও উত্তর নোয়াদ্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মাহিন উদ্দিন নাঈম বন্দর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও আর ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মাহিন ঢাকার বংশাল থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল হকের পুত্র।
গ্রেপ্তার অপহরণকারীরা হলো, বন্দরের উত্তর নোয়াদ্দা ডায়াবেটিকস্ হাসপাতাল এলাকার সোহরাব মৃধার পুত্র মো. শান্ত হাসান (২০) ও নবীগঞ্জ কাইতাখালী এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মাসুম রেজার পুত্র মাহমুদুল হাসান সুখন (২২)। পলাতক আসামিরা হলো, নোয়াদ্দা বড় মসজিদ এলাকার সোহান (২৭), কাইতাখালির তাইজুল ইসলামের পুত্র পারভেজ ওরফে বাবু (২৪), উত্তর নোয়াদ্দার আলতাবের পুত্র রিহান (২০), রাহা মনি ওরফে রুহিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে বন্দরের রাহা মনি ওরফে রুহি (২২) নামের এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। রুহির সঙ্গে দেখা করার জন্য গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে বন্দর থানাধীন আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ডে যান তিনি। এ সময় রুহির সহযোগিতায় ১০/১২ জনের একটি অপহরণকারী চক্র মাহিনকে অপহরণ করে একটি বিলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা মাহিনকে আটকে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ি জখম করে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ সময় তার মানিব্যাগে থাকা নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং একটি আইফোন (যার মূল্য সাড়ে ৩২ হাজার টাকা) লুটে নেয়। পরে শিক্ষার্থী মাহিনের বাবার ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করলে তার বাবা বিকাশের মাধ্যমে নগদ ৫ হাজার টাকা পাঠায়। তারা নাঈমকে ১৪ ঘণ্টা আটকে রেখে ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে মাহিন স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শান্ত হাসানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার তথ্য মতো ২নং আসামি মাহমুদুল হাসান সুখনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীর আইফোন জব্দ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।