মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

|

কার্তিক ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

খাল ভরাট করে জাপা নেতার পোলট্রি ফার্ম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ১২ জুন ২০২৪

খাল ভরাট করে জাপা নেতার পোলট্রি ফার্ম

ফাইল ছবি

সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টির এক নেতার বিরুদ্ধে খাল ভরাট করে পোলট্রি ফার্ম গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।

খাল উদ্ধারে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খাল উদ্ধার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। 

জানা যায়, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ইমানের কান্দি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে একসময় স্থানীয়রা নৌকাযোগে যাতায়াত করতেন। ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি প্রভাবশালী দেলোয়ার হোসেন এ খাল বালু দিয়ে ভরাট করে গড়ে তুলেছেন পোলট্রি ফার্ম। এ ফার্মের মুরগির বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। খালটি বালু ভরাটের ফলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে এলাকাবাসী দুর্ভোগে পড়েছেন।

মঙ্গলবার ইমানের কান্দি গ্রামে গিয়ে কথা হয় স্থানীয়দের সঙ্গে। তারা জানান, খালটি দেলোয়ার হোসেন প্রভাব খাটিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছেন। এতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। খালটি দ্রুত উদ্ধারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

ইমানের কান্দি গ্রামের আব্দুল মতিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালটি বালু দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা পোলট্রি ফার্মের মুরগির বিষ্ঠার দুর্গন্ধ দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। খালটি শিগগির উদ্ধার না হলে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ কঠোর আন্দোলন করা হবে জানান তিনি।

ইমানের কান্দি গ্রামের আব্দুস সাত্তার জানান, পুলিশের সোর্স পরিচয়ে দেলোয়ার অপকর্ম করে যাচ্ছেন। তাঁর (সাত্তার) জামাতা নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এমন তথ্য দিয়ে এবং সে মামলা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন দেলোয়ার। কিন্তু পরে জানা যায় মামলার বিষয়টি ছিল ভুয়া।

সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, খাল দখল করে বালু ভরাটের বিষয়টি এলাকাবাসী তাঁকে জানিয়েছেন। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। খালটি শিগগির উদ্ধার করা জরুরি।  

অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন বলেন, খালটি মাত্র আট ফুট। তাঁর জায়গায় বালু ভরাট করে পোলট্রি ফার্ম গড়েছেন। এতে মানুষের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি পুলিশের ভয় দেখিয়ে কাউকে হয়রানি করেন না। টাকা নেওয়ার বিষয়টি অপপ্রচার।

সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা সালেহা নূর বলেন, সরকারি খাল দখলের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

সোনারগাঁর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, সরকারি সম্পত্তি কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না। তদন্ত করে খাল দখলের প্রমাণ পেলে দখলদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে খাল উদ্ধার করা হবে বলে জানান তিনি।