শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

|

কার্তিক ২৪ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শর্টগানের গুলিতে গুলিবিদ্ধ সম্রাট, যুবলীগ ছাত্রসমাজ নেতাসহ আসামি ২১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ৭ অক্টোবর ২০২৪

আপডেট: ২২:৫৯, ৭ অক্টোবর ২০২৪

শর্টগানের গুলিতে গুলিবিদ্ধ সম্রাট, যুবলীগ ছাত্রসমাজ নেতাসহ আসামি ২১

ফাইল ছবি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে ২১জনের শর্টগানের গুলিতে ৬৮টি ছোরা গুলি বিদ্ধ হয়েছেন সম্রাট। 

ফতুল্লার ভুইঘরের একাব্বর আলী ছেলে তিনি সম্রাট। তিনি গুলিবিদ্ধ হওয়া পরও ২১জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন মিলে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন বলে অভিযোগ করেছেন। 

ফতুল্লা মডেল থানায় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা খান মাসুদ সহ ২১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনের মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই বিকাল ৩টায় সস্তাপুরস্থ হাজী কমর আলী স্কুলের পূর্ব পার্শ্বে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলমান। তখন জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, ফিরোজ মাহমুদ শ্যামা, শাহাদাত, মোঃ জুয়েল, হান্নান সরকার, টান রাজু, মুক্তার হাজী, মোঃ মুসলিম, আরাফাত, আলামিন, শেখ কামাল, সম্রাট, পিয়েল, কসাই মনির, আলামিন, মোঃ সুমন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা খান মাসুদ, জাহিদুল ইসলাম, রবিউল, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানুর ছেলে তাফসির বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে শর্টগান বের করে গুলি চালায়।

এ সময় জানে আলম বিপ্লবের গুলিতে বাদীর মাথায় ৩টি, ফিরোজ মাহমুদ শ্যামার গুলিতে মাথার ডান পার্শ্বে উপরের অংশে ২টি, শাহাদাতের গুলিতে মাথার ডান পার্শ্বের মাঝে ৩টি, মোঃ জুয়েলে গুলিতে মাথার ডান পার্শ্বের নিচের দিকে ৬টি, হান্নান সরকারের গুলিতে ঘারের ডান পার্শ্বের উপরের অংশে ৩টি, টান রাজুর গুলিতে ঘারের ডান পার্শ্বের মাঝে ২টি, মুক্তার হাজীর গুলিতে ডান হাতের বাহুর উপরের অংশে ২টি, মোঃ মুসলিমের গুলিতে ডান হাতের বাহুর মাঝের অংশে ৩টি, আরাফাতের গুলিতে ডান হাতের বাহুর নিচের অংশে ৩টি, আলামিন কনির মাঝের অংশে ২টি, শেখ কামালের গুলিতে ডান চোখে ৩টি, সম্রাটের গুলিতে পিঠের ডান দিকের উপর অংশে ২টি, পিয়েলের গুলিতে বাহুর জোড়ার অংশে ২টি, কসাই মনিরের গুলিতে পিঠের ডান দিকের হাতের বাহুর জোড়ার নীচের অংশে ৩টি, আলামিনের গুলিতে পিঠের ডান দিকের বাহুর জোড়ার মাঝের অংশে ৩টি, মোঃ সুমনের গুলিতে পিঠের মাঝের ডান দিকে মাঝের অংশে ৩টি, খান মাসুদের গুলিতে মেরুদন্ডের অংশে ৩টি, জাহিদুল ইসলামের গুলিতে ডান দিকের নীচের অংশে ৫টি, রবিউলের গুলিতে পিঠের ডান দিকের নীচের অংশের মাঝে ৫টি, তাফসিরের গুলিতে পিঠের বাম পার্শ্বের নীচের দিকে ৫টি ছররা গুলি লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। এতে সকল আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০জন মিলে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে।

বাদীর চিৎকারে ছাত্র জনতা ও সাধারণ জনগন মুমুর্ষ অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফালাইয়া রাখিয়া চলিয়া যায়। পরে ছাত্র জনতা মোঃ শামীম হোসেন হৃদয়, জামান তালুকদার, সৈয়দ ফারুক, কামাল হোসেন, ইউসুফ উক্ত স্থান হতে উদ্ধার করিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউশন ও হাসপাতাল, ঢাকায় চিকিৎসা নেয়া হয়।