
আতাউর রহমান মুকুলকে গণপিটুনি
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। এসময় মুকুলকে মারতে মারতে জামাকাপড় খুলে দিগম্বর করে ফেলে তারা।
রোববার (২৯ জুন) নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ২৭ নং ওয়ার্ডের হরিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে বন্দরের হরিপুর ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা মটর চালক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনের পক্ষে ঠিকাদারি কাজ চালু করতে ঘটনাস্থলে যান মুকুল। এক পর্যায়ে স্থানীয়রদের সাথে বাদানুবাদ হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মুকুলকে গণপিটুনী দেয়।
এসময় তার পড়নে থাকা পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিঁড়ে ফেলে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মুকুলকে উদ্ধার করে
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুকুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি, মামলা হলে আমরা পদক্ষেপ নেবো।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের আমলে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল মুকুলের। বিএনপির রাজনীতি করলেও সেসময় বন্দরে ওসমান পরিবারের আদেশ, নির্দেশই পালন করতেন মুকুল। বিভিন্ন সময় সেলিম ওসমানের সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে দেখা যেত মুকুলকে। সেলিম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগও রয়েছে মুকুলের বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে ২০২৩ সালে মুকুলকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।