
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন খোকাকে ছাড়াতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের ভাতিজা জাইদুল বাবুর গুলিতে মামুন ভুইঁয়া (৩২) আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে মামুনের বড় ভাই মোঃ বাদল ভূঁইয়া বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- রূপগঞ্জের মর্তুজাবাদ এলাকার মন্জুর ছেলে জাহিদুল ইসলাম বাবু (২৮), কবির হোসেনের ছেলে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন খোকা (২৭), গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নাসু ফকিরের ছেলে রাসেল ফকির (২৫), রতনের ছেলে রোহান (২৪), রেমানের ছেলে শাফিন (২৬), আক্কাসের ছেলে আরিফুল (২৮), নিকসন (২৫), তাহের আলীর ছেলে বাদশা (২৪), গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের পূর্বপাড়া এলাকার কবির ফকিরের ছেলে লোহান ফকির (৩০), মকবুলের ছেলে ইমরান (৩২), টেকপাড়া এলাকার ওসমানের ছেলে রাহাত (২৫), মৃত মেতাহারের ছেলে নিবিড় (২৩), সামছুল হকের ছেলে গুই রাকিব (৩৫), কালাই মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা (৩৫), মাঝিপাড়া এলাকার কালাই নোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা (৩৫)।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, গুলিবিদ্ধ যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মাঝিপাড়া এলাকায় দেখতে পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন খোকাকে আটক করে এলাকাবাসী। এসময় তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
এদিকে খোকাকে আটকে রাখার খবর জানতে পেয়ে দলবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মাহবুবুর রহমানের ভাতিজা জায়দুল বাবু। এসময় স্থানীয় জনতার দিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন বাবু। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মামুন ভুইঁয়া। পরবর্তীতে এঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতা খোকাকে গণপিটুনি দেয়। খোকা বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, পাঁচ আগষ্টের পর থেকেই পলাতক অবস্থায় ছিলেন ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন খোকা। মাত্র কয়েকদিন আগে মাহবুবুর রহমানের ভাতিজা জায়দুল বাবুর বলয়ে যোগ দেন খোকা। এরপরেই এলাকায় পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেন খোকা।