![বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ](https://www.narayanganjpost.com/media/imgAll/2023June/386990c8-4d53-4eb7-8a98-76a2447da320-2406110049.jpeg)
ফাইল ছবি
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে গার্মেন্ট শ্রমিকরা।
সোমবার (১০ জুন) বিকেল ৬ টায় মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেন বন্ধ করে লারিজ ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা এই বিক্ষোভ করছেন।
এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এখনো মহাসড়ক থেকে শ্রমিকরা সরে যান নি। এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, গত ৬ মাস ধরে তাদের বেতন আটকে আছে। তারা বারবার দিবে বলে জানালেও এখনো তা দেয় নি। বেতন না পাওয়ার কারণে আমরা বাড়িভাড়া দিতে পারছি না, পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। তাই আমাদের দাবি, আসন্ন ঈদের আগেই যেনো আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়।
মহাসড়কে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের মদনপুর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক অংশ পর্যন্ত যানবাহনগুলো স্থবির হয়ে আছে। এতে যাত্রী ও গাড়ি চালকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, মদনপুর এলাকায় গার্মেন্টস কর্মীদের বিক্ষোভ চলছে এর ফলে এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
যাত্রীরা বলেন, দীর্ঘ সময় যাবত গাড়ি চুল পরিমাণও এগোচ্ছে না। একই স্থানে প্রায় ২ ঘন্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি। অনেক যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেও রওনা শুরু করছে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বলেন, এখনো শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও শিল্পাঞ্চল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দীন বলেছেন, মদনপুর এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। এর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছি।