
ফাইল ছবি
জেলা প্রশাসনের গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ কর্মসূচির আওতায় চলমান বৃক্ষরোপণের অংশ হিসেবে জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় ১০ হাজারতম বৃক্ষরোপণ করেছেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া।
আজ রবিবার সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় আমরা এই উপজেলায় এর আগে ৯,৯৯৯টি বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করেছিলাম। আজ ১০ হাজারতম বৃক্ষরোপণ করার মাধ্যমে আমাদের প্রাথমিক টার্গেট পুরণ শেষ হলো।
নারায়ণগঞ্জ হবে সবুজে ঘেরা প্রান্ডের ড্যান্ডি হবে বিশ্বে সেরা এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সোনারগাঁও উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৫০টি রাস্তার পাশে কৃষ্ণচূড়া, শিমুল সুপারি, নারিকেল, তাল, সাজিনা, অর্জুন, নিম, কাঁঠাল, আম, বকুল ও সোনালু প্রজাতির ১০ হাজারটি গাছ মোট ৪৯ হাজার ২৮৭ মিটার রাস্তায় রোপণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও ফারজানা রহমান।
একই দিনে এই কর্মসূচির আওতায় ডেমরা ব্রিজ সংলগ্ন শীতলক্ষা ও ধলেশ্বরী নদীর নারায়ণগঞ্জের অংশের মোহনায় নির্মিতব্য ইকো পার্কে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
এ সময় তিনি বলেন, শীতলক্ষা নদী উদ্ধারের এখনই সময়। অন্যথায় এই নদী বুড়িগঙ্গার মতো পরিণতি ভোগ করবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ কর্মসূচির আওতায় বিআইডব্লিউটিএকে ২০০০ গাছ নদীর পাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় রোপণের জন্য সরবরাহ করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন মজুমদার।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম জেলা আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জেলা আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারজানা শান্তা, নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মো. আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে ডি এন ডি লেকের পানিতে থাকা কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে অপসারণ করে পর্যটন পরিবেশকে আরও উন্নত করার প্রত্যয় জ্ঞাপন করেন।