রোববার, ২২ জুন ২০২৫

|

আষাঢ় ৭ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

না.গঞ্জে অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:২৬, ২২ জুন ২০২৫

না.গঞ্জে অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার হাজারীবাগ এলাকায় অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২১ জুন) রাতভর বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে। 

 সংঘর্ষে নিহতরা হলেন কুদ্দুস মিয়া (৫৯) ও মেহেদী (৩০)।

নিহত কুদ্দুস বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক ছিলেন। অন্যদিকে মেহেদী বিএনপির স্থানীয় কর্মী বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দর রেললাইন এলাকার এই অটোস্ট্যান্ডটি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশা গ্রুপ এর সাথে আরেক সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছিলো। শুক্রবার এ নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়। 

শনিবার রাতে হান্নান সরকারের বাবু- মেহেদীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আশা গ্রুপের জাফর- রনির উপর হামলা চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে এই সময় ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। হান্নান গ্রুপের লোকজন এ সময় আশার সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা কুদ্দুসকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

পরবর্তীতে এ ঘটনার জের ধরে আশা গ্রুপ সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এ সময় সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এদিকে সংঘর্ষের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দর সিরাজুদ্দৌলার ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার পথে তাদের ওপর রনি ও জাফর গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত হন মেহেদী। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার জানান, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে। আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। 

অন্যদিকে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আবুল কাওসার আশা বলেন, এই ঘটনায় জড়িত বাবু, মেহেদী, রনি, জাফর এরা সবাই এক সময় একসাথেই চলাফেরা করতো এবং এরা বিএনপি'র লোক। কিন্তু সম্প্রতি অটো স্ট্যান্ড নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এখানে আশা গ্রুপ বা হান্নান সরকারের গ্রুপ বলে কেউ নেই। 

এ বিষয়ে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কুদ্দুস ও মেহেদী নামে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।