রোববার, ২২ জুন ২০২৫

|

আষাঢ় ৭ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

না.গঞ্জে অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০০:০৫, ২২ জুন ২০২৫

আপডেট: ০০:০৭, ২২ জুন ২০২৫

না.গঞ্জে অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার হাজারীবাগ এলাকায় অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কুদ্দুস মিয়া (৫৯) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে নয়টায় এ বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত কুদ্দুস বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বন্দর রেললাইন এলাকার এই অটোস্ট্যান্ডটি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশা গ্রুপ এর সাথে আরেক সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার এর লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছিলো। শুক্রবার এ নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়। 

শনিবার রাতে হান্নান সরকারের  বাবু- মেহেদীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আশা গ্রুপের জাফর- রনির উপর হামলা চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে এই সময় ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা দেওয়া চলে। হান্নান গ্রুপের লোকজন এ সময় আশার সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা কুদ্দুসকে উদ্ধার করে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার জের ধরে আশা গ্রুপ সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এ সময় সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার জানান, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে। আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। 

অন্যদিকে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আবুল কাওসার আশা বলেন, এই ঘটনায় জড়িত বাবু, মেহেদী, রনি, জাফর এরা সবাই এক সময় একসাথেই চলাফেরা করতো। এবং এরা বিএনপি'র লোক। কিন্তু সম্প্রতি অটো স্ট্যান্ড নিয়ে তাদের মধ্যে বীরোধ তৈরি হয়। এখানে আশা গ্রুপ বা হান্নান সরকারের গ্রুপ বলে কেউ নেই। 

এবিষয়ে তদন্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)র দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর তদন্ত সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা রয়েছেন।