সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

|

আষাঢ় ১৫ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা চেস্টা করেছিলো তারেক রহমান : সাজনু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:০০, ২২ আগস্ট ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা চেস্টা করেছিলো তারেক রহমান : সাজনু

ফাইল ছবি

বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বলেছেন, জুয়েল হোসেনের সাহসী ভূমিকা নিয়ে কথা বললে শেষ হবে না। জুয়েল আমাদের আদরের ভাগিনা হলেও ওই মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাচ্চা প্রাণ। মহামারী করোনা সময় আমার কাছ অনেক কিছু সহযোগিতা চেয়ে চেয়ে নিসে। ওর জন্য আমাকে বাসা থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের অফিস করতে হয়েছিলো। মহামারী করোনা যখন চারিদিক ভয়াবহ রূপ নেয়, তখন এই জুয়েল মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের নিবেদিত কর্মীদের নিয়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলো। যেহেতু আমি উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলাম, করোনা ত্রাণ আমার স্বাক্ষর ছাড়া হত না। আমি ওরে বললাম, এমন ভয়াবহ সময় বাড়ি থেকে বের হচ্ছো কেনো, এ সময় প্রোগ্রামগুলো কম রাখো। ও (জুয়েল) তখন বলল, এই সময় যদি মানুষের পাশে না থাকি তাহলে শেখ হাসিনার এই স্বেচ্ছাসেবকলীগের সংগঠনের সাথে বেঈমানী হবে। এই জন্য জুয়েলকে আমি ভালোবাসি। মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি হিসেবে জুয়েল হোসেন প্রতিটি পাড়া মহল্লা অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন, তাকে আমি সম্মান করি। আগামীদিনেও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের জুয়েল আবারো দায়িত্ব পাক, সে দোয়া ও কামনা করি। পাকিস্তানীদের পরামর্শে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। কাদের খুশি করার জন্য এই দিনে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদের বুঝতে হবে। পাকিস্তানী ওই বংশধররা আজো ক্ষমতা আসার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার অপর নাম বাংলাদেশের উন্নয়ন। শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগকে আবারো ক্ষমতা আনবে এই বাংলার জনগণ। কারণ, শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত করে আর খালেদা তারেক রহমান দেশকে বিক্রি করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী করার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানায়।

মঙ্গলবার ২২ আগস্ট বিকাল ৪টায় বন্দর বক্তারকান্দি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া ও নেওয়াজ বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম সঞ্চালয়নায় ২৪নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ মমিনুল ইসলাম মোমেনের সভাপতিতে প্রধান বক্তা ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ছাত্র নেতা জুয়েল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শহিদুল্লাহ মাস্টার, ২৬নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু ও বন্দর ইউনিয়ণ আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু বলেছেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগে জুয়েল যখন সাবেক হয়েছিলো, তখন এই রশিদ ভাইয়ের বুদ্ধি পরামর্শে ৯টি ওয়ার্ডে কাজ করে, ওয়াড রাজনীতি উন্নত করেছে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আমরা একটি লাল সবুজের পতাকা পেয়েছিলাম। এর সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে যখন সোনা বাংলাদেশ উন্নত রূপ ধারণ করছিলেন ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট পাকিস্তানের সাথে যোগসাজত করে কিছু কুলাঙ্কার জাতির জনককে হত্যা করা হয়েছিলো। সেখানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সহ তার সন্তানদের হত্যা করা হয়। ওই খুনিরা ছোট শেখ রাসেলকে হত্যা করতে হাত কাপেঁনি। সেদিন ওরা মনে করেছিলো শেখ মুজিবুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিবো। ওরা জানতো যে বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশকে কখনো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। সেই খুনি জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হয় তখন পাকিস্তানীদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে ছিলো। ওই সময় বঙ্গবন্ধুরা বলেছিলো, এই খুনের পিছনে জিয়াউর রহমান সব কিছু জানতো। বঙ্গবন্ধু খুনিদের বাচ্চার জন্য জন্য জিয়াউর রহমান একটি আইন পাশ করেছিলো। সেই আইন শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা আসার পর বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দেয়া হয়েছিলো। আজকের কয়েকজন ফাঁসি আসামী বিদেশের পালিয়ে আছে।

সাজনু আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক রহমান বার বার শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছিলো, ১৯৭৫ সালে যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো, ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো এই তিনটি ঘটনা সাথে জিয়া পরিবার জড়িত। ২০২৩ সালে ডিসেম্বর শেষ সপ্তাহে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন। শেখ হাসিনা আজ আওয়ামীলীগ সম্পদ নয় তিনি বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ছাত্র নেতা জুয়েল হোসেন বলেছেন, আজকে পর্যন্ত প্রতিদিন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিভিণ্ন ওয়ার্ডে অনুষ্ঠান হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহত্তর স্বেচ্ছাসেবকলীগ পরিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে, জননেতা একেএম শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। আমরা অনেক সময় দেখি, আমাদের নিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন মন্তব্যে করা হয়। এই আগষ্ট আসলে আমাদের উপর আঘাত করা হয়। এই বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। ১৯৭১ সালের আগে থেকে পাকিস্তানী প্রেত্মারা প্রেসক্রিপশনে এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতিটি উন্নয়ন বাংলা জনগণের কাছে পৌছে দিতে হবে। তাহলে জনগণ এর নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট দিবে না। নৌকাকে ভোট দেয়া কারণ, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু, নাসিম ওসমান সেতু নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা। বছরের প্রথম দিনে দেশের সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই হাতে তুলে দেন। তার অভিভাবকরা বুঝতে বছরের শুরুতে আমার সন্তান নতুন বই পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই বিএনপি জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে এই দেশের সম্পদ লুটে পুটে খাবে। এসব জনগণকে বুঝাতে হবে, কাকে ক্ষমতা আনতে দেশ উন্নত হয়। যারা ক্ষমতা আসলে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা করে, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করে, তাদেরকে মানুষ দেখতে চায় না। ওরা এবার জনগণের কাছে ভোট চাইবে তো দূরের কথা, জনগণ ধিক্কার জানাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার বলেছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছে। আজ দেশের সকল রাস্তা ঘাট উন্নত করেছে। মেট্রো রেল, টার্নেল, পদ্মা সেতু মত বড় বড় উন্নয়ন বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছেন। আজ আব্দুর রশিদ সাহেব প্রায় বলেন, আমার যদি জুয়েলের মত বয়স হতো আমি স্বেচ্ছাসেবকলীগ করতাম। ২৫ আগষ্ট ২১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে আড়াই শত অসহায় পরিবারের মধ্যে চাউল দিবো।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক মহিলা সম্পাদিকা সাদিয়া সুলতানা শান্তা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জয়, সাবেক আইন-বিষয়ক সম্পাদক সজীব মোল্লা, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল হাসান রেসিন, সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক উজ্জল চন্দ্র দে, সদস্য আবছার সিকদার, বাবুল দেওয়ান. স্বর্ণা ভূইয়া, ইফতেখার পাপ্পু, ১৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, ২২নং ওয়ার্ড সভাপতি মুজাহিদ সরকার জনি, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের ২২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ প্রধান, ২৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমরান মাদবর, ২৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ জিয়াউর হাসান বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান বাদশা মৃধা, ২৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাদশা মৃধা, ২৪ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোমেনুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, ২১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ২০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের আব্দুল মালেক, ২৫ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হালিম সাইদ ও ১১নং ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী জাবেদ আহম্মেদ প্রমুখ।