ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে বিগত কয়েকমাসে আন্দোলন যখন তুঙ্গে ছিল ঠিক সেসময় রাজপথে ব্যার্থতার পেছনের বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতারা।
সাম্প্রতিক সময়ে দলের হাইকমান্ডের সাথে চলমান আন্দোলন পর্যালোচনার এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নিজেদের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের অপারগতার বিষয়গুলো আমলে নেন এবং কারণগুলো যুক্তিযুক্ত মনে করে এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জোরাল আশ্বাস দেন।
চলমান আন্দোলনে ছাত্রদলের পিছিয়ে পড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক সংকটকে সামনে এনেছেন নেতারা। কেন্দ্রের সাথে এক অনলাইন মিটিংয়ে নেতারা জানান, আমাদের শক্তি সাহস এবং লোকবল সবই আছে। তারপরেও মাঠে সামর্থ্যের সবটুকু দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমাদের সেরকম অর্থনৈতিক সামর্থ্য নেই।
আলোচনার সময় নেতাকর্মীরা এবার আন্দোলনে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সংকটে ছিল বলে জানান। কেন্দ্র কিংবা জেলা থেকে আন্দোলন পরিচালনা করতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কোন রকম সহযোগিতা করা হয়নি বলে জানান তারা। এসকল সীমাবদ্ধতা না থাকলে চলমান আন্দোলনের চিত্রটা ভিন্ন থাকতো বলে বিশ্বাস তাদের।
জেলার নেতারা জানান, আমাদের নারায়ণগঞ্জের আন্দোলনের উপর রাজধানী নির্ভর করে কিন্তু এ জেলার ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের কাছে বাজেট ছিলনা, দেয়া হয়নি, সেভাবে চালানোও হয়নি নেতাকর্মীদের। যদি সব ঠিক থাকতো তাহলে নারায়ণগঞ্জের চিত্রটা হয়তো ভিন্ন হত।
বৈঠকে এক নেতার পাশে বসে থাকা আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সেখানে ঢাকা বিভাগের ও অধীনস্থ জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড এসব শোনেন। প্রতিটি জেলা তাদের অন্তঃকোন্দলসহ নানা দিক তুলে ধরলেও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে নারায়ণগঞ্জ। তবে এটি তুলে ধরার পর সকলেই এতে সম্মতি দেন যে সকলেরই একই অবস্থা।
সুত্রটি জানায়, সবার শেষে বক্তব্য রাখার সুযোগ পায় নারায়ণগঞ্জ। আন্দোলনে সবচেয়ে বাজে কার্যক্রম ছিল জেলা ও মহানগরটির। এর কারণ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের সংগঠনটির একজন শীর্ষ নেতা বক্তব্যের শুরুতে বলেন, আমাদের সব আছে শক্তি লোকবল সামর্থ্য কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে আমরা হেরে গেছি। এবার আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। নিজেরা যেটুকু পেরেছি করেছি। একেতো ছাত্র তারপর আমাদের এর বড় চূড়ান্ত আন্দোলন কিন্ত দল থেকে আমাদের কোন বাজেট দেয়া হয়নি। নেতারাও এগিয়ে আসেনি। আমরা কিভাবে ছিলাম খোঁজও নেয়নি। আমাদের নেতাকর্মীরা ফোন করে কান্নাও করেছে কাউকে সহায়তা করতে পারিনি। আমাদের শীর্ষ নেতাদেরই যদি খোঁজ না রাখে তাহলে এবার ইউনিটগুলোর অবস্থা বুঝতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীক অঞ্চল তার উপর এটি ছিল চূড়ান্ত আন্দোলন কিন্তু দলের কোন বাজেট ছিলনা বা দেয়া হয়নি এটি কিভাবে হয়। আমরা টাকার জন্য হেরে গেছি এবার।
নারায়ণগঞ্জের নেতাদের অর্থনৈতিক সংকটের ঘটনা জানার পর কেন্দ্রের নেতারা আশ্বস্ত করে বলেছেন, টাকার জন্য আগামীতে আর আমরা ব্যর্থ হবোনা।