
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুরো শহর দাপিয়ে বেড়াতেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শহরের ফুটপাতে চাঁদাবাজি, ঝুট-গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় ভোটকেন্দ্র দখল করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধরা পড়ার ঘটনা বিরল। তবে এমন ঘটনাও ঘটিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ততকালীন মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদের নেতৃত্বে ভোটকেন্দ্র দখল করতে গিয়ে র্যাবের হাতে আটক হলে শামীম ওসমান তাদের ছাড়িয়ে আনেন।
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নে মেম্বার নির্বাচন চলাকালীন ভোটকেন্দ্র দখল করতে দলবল নিয়ে উপস্থিত হন রিয়াদ। এসময় বিরোধীপক্ষের কর্মীরা রিয়াদ ও তার সমর্থকদের পিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ছাড়িয়ে আনে। বিকেলে পুনরায় কেন্দ্র দখল করতে যান ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াদ। এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে রিয়াদসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। এখবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তৎকালীন এমপি শামীম ওসমান। এসময় র্যাব কর্মকর্তাদের শাসিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের ছাড়িয়ে নেন তিনি।
এঘটনার পর নির্বাচনের ঐ কেন্দ্র দখল হয়ে যায় সেখানে। জানা যায়, পরবর্তীতে রিয়াদ সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এঘটনার পরেও রিয়াদ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা থামেন নি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিনও ভোটকেন্দ্র দখল করতে যান রিয়াদ। শহরের গর্ভমেন্ট গার্লস স্কুলে দলবল নিয়ে প্রবেশ করেন রিয়াদ। এসময় ব্যালটে সিল মারাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়ান রিয়াদ। ঘটনার এক পর্যায়ে রিয়াদকে ভোটকেন্দ্রে আটকে রাখে পুলিশ। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতা শাহ্ নিজাম গিয়ে রিয়াদকে উদ্ধার করে আনেন।
এসকল ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এসব নেতাদের বিরুদ্ধে।