মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

|

কার্তিক ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বারদী সাব-জোনাল অফিসের লাইনম্যানদের হাতে জিম্মি গ্রাহকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:১১, ১৪ জুন ২০২৪

বারদী সাব-জোনাল অফিসের লাইনম্যানদের হাতে জিম্মি গ্রাহকরা

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বারদী সাব-জোনাল অফিসে নতুন  সংযোগের আবেদনকারীরা লাইনম্যানদের  হাতে অনেকটাই জিম্মি হয়ে পড়েছে। এছাড়া গ্রাহকদের নতুন বৈদ্যুতিক মিটারের ক্ষয়ক্ষতি হলে অসাধু কর্মকর্তাদের ব্যবসা যেন, আরও রমরমা হয়ে ওঠে। এতে মিটার প্রতি নেয়া হয় ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ।

নতুন সংযোগের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা ও মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ৫০০ টাকা করে দিতে হয় নতুন গ্রাহকদের। বৈদ্যুতিক পোল স্থাপনের জন্য চা বিল আর অদৃশ্য স্যারের জন্য, পোল প্রতি দিতে হয় হাজার-হাজার টাকা। 

এভাবেই পদে পদে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে সোনারগাঁও উপজেলার নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বারদী সাব-জোনাল অফিসের আওতাধীন এলাকার বাসিন্দাদের। 
জানা যায়, শুধুমাত্র আবেদন ফি আর মিটার ভাড়া দিলেই পাওয়া যাবে নতুন সংযোগ। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বাড়তি টাকা না দিলে মাসের পর মাস ঘুরেও মিলছে না সংযোগ। এই বাড়তি টাকা লাইনম্যান ও ইলেক্ট্রিশিয়ানদের পকেটেই ঢুকছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। গ্রাহক সেজে সেবা নিতে গেলে বুঝা যায়, কিছু অসাদু কর্মকর্তার জন্যে দূর্নীতির আখড়ায় রূপ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বারদী সাব-জোনাল অফিস। 

উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পাচানী গ্রামের বাসিন্দা শাহিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে আমার বাসা বাড়ির মিটার পুড়ে যায়। আমি নতুন মিটার সংযোগের জন্য বারদী সাব জোনাল অফিসে আবেদন করতে আসি। 
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সেখানে লাইনম্যান আল-আমিন, মিটার সংযোগ করে দেয়ার কথা জানায়। এর বিনিময়ের সে আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিলে, সে আমাকে অল্প দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে বলে জানায়। আমি উৎকোচ দিতে অসম্মতিল জানালে, সে আমাকে নানান ভাবে হয়রানি করে। মিটার সংযোগের কথা বললে সে, আজ না কাল বলে বলে আমাকে ঘুরাতে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বারদী সাব-জোনাল অফিসে আল-আমিন এর মতো আরো অসংখ্য লাইনম্যান রয়েছে, যারা সাধারণ জনগনকে হয়রানি করে ঘুষ আদায় করতে বাধ্য করে। শাহিনের মতো সেবা নিতে আসা এরকম অনেক গ্রাহক, পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং মিটার সংযোগে ১০০ টাকা আবেদন ফি’র স্থলে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বারদী জোনাল অফিসের লাইনম্যান আল আমিন বিষয়টি মুঠোফোনে বলেন, তার মিটার পুড়ে গিয়েছিল। নতুন মিটার সংযোগ দিতে, আনুমানিক ৭-৮ হাজার টাকা খরচ যাবে। তার খরচ যেন কম যায়, সে জন্য উপকার করতে চেয়েছিলাম। 

নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বারদী সাব-জোনাল অফিসের  এজিএম মাজহারুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার নাম করে কোনো লাইনম্যান, ইলেক্ট্রিশিয়ান বা কোনো ব্যক্তি টাকা নেন তাহলে তার বিরুদ্ধে সু-নির্দিষ্ট প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।