
অস্থায়ী কোরবানির পশুর গোশতের বাজার
নারায়ণগঞ্জে কোরবানির ঈদের দিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী কোরবানির পশুর গোশতের বাজার বসেছে। এসকল বাজারে ১৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে কোরবানির পশুর গোশত বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার (৭ জুন) শহরের চাষাঢ়া রেলস্টেশন, ২ নং রেলগেট, ফতুল্লা রেলস্টেশন, তল্লা এলাকায় ঘুরে এ সরকারের দেখা গেছে।
এসকল বাজারে ঈদের দিন কোরবানির সংগৃহীত গোশত বিক্রি করছেন সংগ্রহকারীরা। বাজারে ক্রেতাদেরও ব্যাপক ভীড় দেখা গেছে। নিন্ম আয়ের মানুষদের এসকল বাজার থেকে কোরবানির গোশত কিনতে দেখা গেছে।
মাংস বিক্রি করতে আসা ব্যাক্তিরা জানান, কোরবানির ঈদের দিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এসকল গোশত সংগ্রহ করেছেন তারা। এদের বেশিরভাগেরই নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। ভাসমান এসকল মানুষের কাছে কোরবানির গোশত সংরক্ষণের জন্য নেই কোন ফ্রীজ। ফলে অনেকেই অল্প দামে গোশত বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এদিকে অস্থায়ী এই বাজারের ক্রেতারাও নিন্ম আয়ের মানুষ ও দিনমজুরেরা। গোশত কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, সাধারণ সময়ে বাজারে গরুর গোশত ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এটা অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। এখানে কম দামে মাংস পাওয়া যায়। একটি দেখে শুনে কিনতে পারলে ভাল মাংস পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন সন্ধ্যার পর কয়েক ঘন্টার জন্য এই বাজার বসে। সারাদিন কোরবানির গোশত সংগ্রহ শেষে এখানে কেনাবেচা হয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গোশত বেচাকেনা করতে এই বাজারে আসে মানুষ।