
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে জেলা দাপিয়ে বেড়ানো নেতারা এবার ঈদ উল আযহা পালন করছেন পলাতক অবস্থায়। পাঁচ আগষ্টে আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই পলাতক অবস্থায় আছেন এসকল নেতারা।
আওয়ামী লীগের পুরোটা সময়জুড়ে ঈদের সময় আসলেই নারায়ণগঞ্জ শহর ও উপজেলা গুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে যেত শহর। শহরের মার্কেট থেকে শুরু করে ঈদের জামাত পর্যন্ত সর্বত্র দাপট দেখা যেত এসকল নেতার।
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের পুরো সময়জুড়ে ঈদের জামাত নিয়ে নানা আয়োজন করতে দেখা যেত তৎকালীন এমপি শামীম ওসমানকে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসকল আয়োজন করা হলেও সেখানে নিজের নাম ও ছবি ব্যাবহার করে ব্যাক্তিগত প্রচারণা করতেন শামীম ওসমান। কোরবানির পশু কেনার ব্যাপারেও শামীম ওসমান, তার পুত্র অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমান থাকতেন আলোচনায়।
তবে এবার ঈদ উল আজহায় শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রভাব নেই নারায়ণগঞ্জে। বিদেশে পলাতক অবস্থায় এবছর ঈদ উদযাপন করবেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের আরেক দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নেতা সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা সেলিনা হায়াৎ আইভীর এবছরের ঈদ কাটবে জেলখানায়। অতীতে রূপগঞ্জে ঈদের সময়ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এলাকায় প্রবেশ করতে দিতেন না গাজী। ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরোয়া কর্মসূচিতেও হামলা চালাতো গাজীর পালিত সন্ত্রাসীরা। পলাতক অবস্থায় ঈদ উদযাপন করবেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও তার অনুসারীরাও।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতাই পলাতক রয়েছেন। অতীতে ঈদের সময় এসকল দাপুটে নেতাদের পদচারণায় শহর মুখরিত থাকত।