
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে কোরবানির ঈদের দিনে ও ঈদের পরের দিন কসাই হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে নিন্ম আয়ের মানুষদের। এদের বেশিরভাগই গার্মেন্টস শ্রমিক, রিকশাচালক ও দিনমজুর। অতিরিক্ত কিছু টাকা আয়ের আশায় ঈদের দিন এক দিনের কসাই হিসেবে কাজ করেন তারা।
শনিবার (৭ জুন) শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
প্রতি বছরই ঈদের দুই দিনকে ঘিরে কসাইদের প্রচুর চাহিদা দেখা যায় শহরে। তবে এত পরিমাণ চাহিদা পূরণের জন্য নেই পর্যাপ্ত পেশাদার কসাই। ফলে একদিনের কসাইদের কদর বাড়ে এদিন।
নারায়ণগঞ্জের জামতলা এলাকায় কোরবানির পশু কাটতে আসা আব্দুল হাকিম জানান, আমার মূলত ছেট একটি চায়ের দোকান রয়েছে। ঈদের দিন উপলক্ষে কসাইয়ের কাজ নিয়েছি। গতকাল তিনটি গরুর কাজ নিয়েছি। আজ আরও একটি গরুর কাজ পেয়েছি। ঈদের দিন এ কাজে বাড়তি কিছু টাকা আয় হয়। তাই এ কাজ করছি।
এদিকে একদিনের এসকল কসাইরা পেশাদার না হওয়ায় অভিযোগের কমতি নেই কোরবানি দেয়া মুসল্লীদের। তবে কসাই সংকটের কারণে এসকল একদিনের কসাইদের ওপরেই নির্ভর করতে হয় তাদের।
ফতুল্লার লালপুর এলাকার আসাদুজ্জামান তুহীন জানান, ঈদের দিন কসাই পাওয়া বেশ মুশকিল। তাই যাকে পাওয়া যায় তার ওপরেই নির্ভর করতে হয়। দক্ষ কসাই না পাওয়া গেলে অনেক সময় কোরবানির পশুর চামড়া নষ্ট হয়, পশু কাটাকুটি করতে বেশি সময় লাগে। এতে কিছুটা ভোগান্তি হয়।