ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় তীব্র বাতাস ও ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিক্ষস্থ হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় গত ২ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার পর বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। তবে এখোন পুরা উপজেলায় বিদ্যুৎ চালু হয়নি।
পুরো উপজেলায় ৩ টি খুটি ভেঙ্গে গেছে। ১২টি খুটি পড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে উপজেলা। রিমালের তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সহস্রাধিক গাছ ভেঙ্গে গেছে।
জলারপড়া কান্দাপাড়া ৪টি বাড়ি মেঘনার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কালাপাহাড়ায়িা যাত্রী ছাউনি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। কড়ইতলা রশিদ আহমেদের ওষুধী গাছের বাগন তছনছ হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে রাত থেকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। অনেকে রাত থেকে পানি উঠাতে না পেরে এখন বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে আছেন। এ ছাড়া উপজেলাজুড়ে তীব্র বাতাস ও টানা বৃষ্টিতে কাঁচা সড়কগুলোতে পানি জমে তা চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কাও আছে। উপজেলায় বিশনন্দী ফেরিঘাট বৈরী আবহাওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে। মাঝে মাঝে দু একবার ফেরী চললেও তাতে থাকছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
কালাপাহাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মহিতুল ইসলাম হিরু জানান, আমাদের মেঘনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এভাবে চললে ঘরবাড়িও ভাঙনে পড়তে পারে।
উপজেলার গোপালদী পৌরসভার পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সরোয়ার জাহান জানান, বিভিন্ন এলাকায় ঝড় বাতাসে বিদ্যুতের তার খুটি পড়ে গেছে, কোথাও কোথায় বিদ্যুতের তারে গাছপালা ভেঙে পড়েছে, এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা হয়েছে । বেশীর ভাগ এলাকায় চালু হয়েছে। আশা করি ২/৩ ঘন্টার মধ্যে বাকী এলাাকাতে চালু করতে পারব।
