
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রারের সামনে নকল নবিশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালকে চাঁদা না পেয়ে মারধরের চেষ্টা চালানো অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। এঘটনায় সোনারগাঁ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে মোস্তফা কামাল জানান, সোনারগাঁ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ সরকার মনোনিত হন। গত এপ্রিলে মনোনিত হওয়ার পর তিনি সোনারগাঁ উপজেলা সকল নকল নবিশদের কাছ থেকে প্রতি দলিলে ১শ টাকা করে চাঁদা হিসেবে দলিল লিখক সমিতির ফান্ডে জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। দীর্ঘদিন ধরে এ চাঁদা না পেয়ে গত বুধবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার এজলাসে থাকাবস্থায় দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদ সরকার তাকে মারধরের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে গালিগালাজ করে বের হয়ে যান ও দলিল লিখক সমিতির ফান্ডে দলিল প্রতি টাকা না দিলে মারধর ও অফিসে প্রবেশ করতে দেবে বলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রারের কাছে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সোনারগাঁ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিশ আলমগীর হোসেন বলেন, নকল নিবশকারীরা তাদের নিজস্ব সমিতির আওতায় রয়েছেন। দলিল লিখক সমিতির আওতায় নকল নবিশকারীরা না। কেন তাদের দলিল লিখক সমিতিতে টাকা দিতে হবে?। জোরপূর্বক টাকা দাবি যুক্তিহীন। প্রতিদিন প্রায় ৫৫টি দলিল নিবন্ধন হয়ে থাকে। এ দলিল থেকে কেন ১শ করে টাকা দিতে হবে?
সোনারগাঁ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, সোনারগাঁ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ৫২জন নকল নবিশ কাজ করে থাকেন। প্রতিদিন যে সকল দলিল সৃজন হয়ে থাকে। এগুলো দলিল গ্রহিতারা নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে নকল নিয়ে থাকেন। নকলগুলে নকল নবিশকারীরা তা হাতে লিখে থাকেন। নকল নিবশকারীদের পাওয়া ফি থেকে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক সমিতির ফান্ডে দলিল প্রতি ১শ টাকা দাবি করেন। এ টাকা দিতে না চাইলে তার ওপর চড়াও হন শহীদ সরকার।
অভিযুক্ত সোনারগাঁ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ সরকার বলেন, নকল নবিশকারদের কাছে কোন টাকা দাবি করিনি। আমার সঙ্গে তার কোন কিছুই হয়নি। অভিযোগ দায়ের করে থাকলে তদন্ত হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়গুলো আমার জানা নেই। তবে অফিসের ভেতরে দুই পক্ষের বাগ বিতন্ডা হয়েছে শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার খন্দকার জামীলুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের সত্যাতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।