শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

|

আষাঢ় ৬ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

‎অবৈধ ভাবে বালু উত্তেলনের কারনে বন্দরে শান্তিনগর কবরস্থানটি ভাঙ্গনের কবলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:২২, ২০ জুন ২০২৫

‎অবৈধ ভাবে বালু উত্তেলনের কারনে বন্দরে শান্তিনগর কবরস্থানটি ভাঙ্গনের কবলে

ফাইল ছবি

অবৈধ ভাবে বালু উত্তেলনের কারনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দরে  ১৯ নং ওয়ার্ড  শান্তিনগর কবরস্থানটি শীতলক্ষা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ গত সরকারের আমলে একচেটিয়া প্রভাব খাটিয়ে কিছু কতিপয় একটি  স্বার্থনিশি মহল একচেটিয়া প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের উচ্চমহলকে ম্যানেজ করে জোরপূর্বক ভাবে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তেলনসহ  গ্রামের বৃহত্তর একটি অংশর মাটি  কাটিং করার কারনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বহু একর ফসলি জমি। ভরা বর্ষার মৌসুমে শীতলক্ষ্যা নদী উত্তাল থাকার কারনে শান্তিনগরের একমাত্র কবরস্থানটিও এখন বিলিনের পথে।  এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী নদীভাঙ্গা ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

‎গ্রামবাসী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, ধর্মীয় অনুভুতি বিবেচনা করে অত্র এলাকার কবরস্থানটির জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য যাতে নদী ভাঙ্গার  থেকে কবরস্থানটি রক্ষা করা যায়।আমরা গ্রামবাসী ইতিমধ্যে সরকারের   বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

‎এলাকাবাসী আরো জানায়, খাতা কলমে শহরের তালিকায় অথচ  নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েও আমরা এখনো অনেক টা উপজেলা ইউনিয়নের গ্রাম গুলোর থেকেও সরকারি  অবকাঠামো সেবার অনেকটা পিছিয়ে,যা খুবই হতাশা জনক  আমাদের দুর্যোগের সময়  কাউকে পাশে পাচ্ছি না আমরা।

‎নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, ও দুর্যোগ ও ত্রাণ  মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি কিছু জিও ব্যাগ এই কবরস্থানটির জন্য বরাদ্দ  করে অনুদান হিসাবে তাহলে আমরা  গ্রামবাসী উপকৃত  হব। 

‎নারায়ণগঞ্জ  সিটি কর্পোরেশনের অতীতের মেয়র তাহার নির্বাচনী ইশতেহার ছিল,অত্র  ১৯নং ওয়ার্ডের এই শান্তিনগর  কবরস্থানটির যোগাযোগের জন্য সড়ক ও  শীতলক্ষা নদীর তীরে   একটি সিঁড়ি ঘাটলা করে দেওয়ার,সড়কটি অর্ধেক নির্মাণ হয়েছে বাকি কাজটুকু দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ ,আমরা বর্তমান নানু সিটি কর্পোরেশনের  প্রশাসকের বরাবর  গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত খোলা চিঠি তার নগর ভবনে   দিয়ে আসবো উল্লেখ্য বিষয়টি যেন তিনি  পুনঃবিবেচনা করে দ্রুত একটি স্থায়ী জনবান্ধব ব্যবস্থা নেই ।

‎পাশাপাশি ‎আমরা গ্রামবাসী বন্দর  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিত আকারে অবগত করব তিনি যেন  ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করে তার সাধ্য অনুযায়ী দ্রুততম একটি টেকসই  উদ্যোগ নেয়।

‎আমরা আরো আহবান জানাই অক্ত উপজেলার বৃত্তশীল  ব্যক্তিদের,রাজনৈতিক বৃদ্ধের যাহাতে এই   নদী ভাঙ্গার কবল থেকে শান্তিনগর কবরস্থানটিকে একটি স্থায়ী বেরিবাদ প্রাচীন নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট  সকালের সহযোগিতা কামনা ব্যক্ত করছি আমরা শান্তিনগর গ্রামবাসী।