
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে ঈদুল আজহার পর সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। প্রায় প্রতিটি সবজির দামই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চরম বিপাকে। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়াই এই দাম বাড়ার মূল কারণ।
শুক্রবার (১৩ জুন) নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ঈদের আগে বাজারে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হওয়া অনেক সবজির দাম এখন চড়া। ঈদের আগে টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন খুচরা বাজারে তা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা প্রায় দ্বিগুণ। একইভাবে ঈদের আগে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলার দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। বেগুন মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ থেকে ১০০ টাকায়, কাঁকরোল ৬০ টাকা থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় ও শসা ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতিপিস ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে সব সবজির দামই বাড়েনি। ঈদের আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কচুর লতি এখন ৮০ টাকায় নেমে এসেছে। চিচিঙ্গাও ৬০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে, যা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ৬০ টাকা কেজি দরে এবং কাঁচা কলা প্রতি হালি ৫০ টাকায়, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজি বিক্রেতা মো. ইয়াকুব মিয়া বলেন, ঈদুল আজহার আগে সবজির পাইকারি বাজারে দাম কম ছিল। কিন্তু ঈদের পর থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম থাকায় বাইরে থেকে এখনও সবজি ঠিকমতো আসছে না। এ কারণেই সবজির দাম কিছুটা বাড়তি।
অন্যদিকে সবজি কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদের পর সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে যে টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনেছি, আজ তা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এটা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য বাড়তি চাপ।