
ফাইল ছবি
বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস মিয়া ও মেহেদী নামে উভয়পক্ষের ২ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) রাতে থানার শাহী মসজিদ হাফেজীবাগ এলাকায় এঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আটককৃতরাহলো, মোঃ শান্ত, মোঃ রবিন, মোঃ সোহেল, মোঃ কবির ও মোঃ ফাহিম। স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে দু'গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াএক পর্যায়ে কুদ্দুসকে বাবু-মেহেদীর লোকজন ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। রাতসাড়ে এগারোটায় বন্দর সিরাজুদ্দৌলার ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার পথে তাদেরকেদেখে রনি ও জাফর গ্রুপের লোকজন ধাওয়া দিয়ে মেহেদীকে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতেআহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩শ' শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতঘোষণা করে। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহপুলিশের উর্ধ্বতনরা। এছাড়াও ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব-১১, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয়পক্ষের অন্তত ৫জনকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে নান্নু মিয়ার পুত্র মোঃ শান্ত ও আলমচানের পুত্র মোঃরবিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম। অপরদিকে মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্রমোঃ কবির, কবির হোসেনের পুত্র মোঃ ফাহিম ও মোঃ সেলিমের পুত্র মোঃ সোহেলকে আটককরেছে পুলিশ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু'গ্রুপেরসংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস ও মেহেদী নামে নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে দাফন করা হয়েছে। নিহতদ্বয়ের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করবেনবলে আমাদের জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনশান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।