শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৫ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

যেখানে তাকান শামীম ওসমান সেখানেই জয়ের উল্লাসে উজ্জীবিত হয় আ.লীগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

যেখানে তাকান শামীম ওসমান সেখানেই জয়ের উল্লাসে উজ্জীবিত হয় আ.লীগ

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ছাত্র জীবন থেকেই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন। পারিবারিকভাবেই রাজনীতির ছোয়ায় ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি তাকে কাছে টানতো। নারায়ণগঞ্জের রাজপথে অগ্নিপুরুষের মত প্রয়োজনে গর্জে উঠেছেন অনেক বার। দল চাইলেই তাকে প্রয়োজনে সব সময় কাছে পেয়েছে।

রাজনীতির এ উজ্জ্বল নেতা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে রাজপথে ও সকল নির্বাচনে জয়ী করতে মাঠে নেমেছেন। তিনি সকলের কাছে এখন ক্যারিশমাটিক জয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৭টি পদের মধ্যে ১৬টি পদেই দ্বিগুণের বেশী ভোটে নিজ দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আবারো সেই জয়ী নেতা হিসেবে নিজের অবস্থান দলে জাহির করলেন শামীম ওসমান।

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৭টি পদে মধ্যে ১৬টিতে দ্বিগুন ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত এবং সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান বার ভবনে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়।

বিজয়ীরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির টানা দ্বিতীয় বারের জন্য জয়ী অ্যাডভোকেট মোঃ হাসান ফেরদৌস জুয়েল (৭৮৭ ভোট), সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া (৭৩৫ ভোট), সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আলাউদ্দিন (৭৩৫ ভোট), সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ রবিউল আমিন রনী (৭৩৪ ভোট), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন (৬০৬ ভোট), কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মোঃ স্বপন ভুইয়া (৬৩৭ ভোট), অ্যাপায়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট অঞ্জন দাস, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট এরশাদুজ্জামান ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মান্নান, সাহিত্য ও সাংষ্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজিয়া আমিন কানচি, সমাজসেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মানজুদুল রশিদ রিফাত, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন, কার্যকরি সদস্য পদে নারায়ণ চন্দ্র সাহা, হালিমা আক্তার, মোহাম্মদ আলী আকবর, নূরী নাজমুল আলম।

এ ছাড়াও জেলা পরিষদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ জয়ের নায়ক ছিলেন শামীম ওসমান। দল এখন তাকে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের দায়িত্ব নিতে বলছেন। শামীম ওসমান যেহেতু দলের প্রয়োজনে দলের ডাকে নিজেকে সবসময় বিলিয়ে দিয়েছেন তাই এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। দলের জন্য নেমে এবারো সকল ক্ষেত্রে জয়ের ধ্বনি নিয়ে হাজির হচ্ছেন শামীম ওসমান।
 
শামীম ওসমান শুধু বর্তমান সময়ে নয় তার পরিবারের পূর্বপুরুষরাও ছিলেন রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেশের জন্য কাজ করেছেন এ পরিবারটি। শামীম ওসমান মাঠে নামলেই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও তার অনুসারীরা রাজপথে অবস্থান নেন।
 
সরকারি তোলারাম কলেজের রাজনীতি করার সময় থেকেই নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন শামীম ওসমান। সেসময় নিজস্ব বিশাল কর্মী বাহিনীর সৃষ্টি হয় তার। তাকে ভালোবেসে এবং আওয়ামীলীগের দলীয় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলের নেতাকর্মীরা তার কাছে ঘেঁষতে শুরু করেন। রাজনীতির একটা সময় শামীম ওসমানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দলের নেতাকর্মীদের যেমন ভালোবেসেছেন তেমন দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি বোমা হামলার শিকারও হয়েছেন।
মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসা নেতা শামীম ওসমান যেকোন ইস্যুতে রাজপথে কর্মসুচী করতে নামলেই সরগরম থাকতো রাজপথ। নেতাকর্মীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এ নেতাকে মাঠে কখনো কর্মী সংকটে ভুগতে হয়নি।
 
একসময় হুংকার ও তীব্র ঝাঁঝালো অবস্থায় রাজনীতি করতেও এখন শামীম ওসমান কিছুটা শান্ত রাজনীতিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আনুগত্য ও দলীয় প্রধানের নির্দেশে আগের সেই সরগরম অবস্থা থেকে অনেকটা সরে এসে এখন ঠাণ্ডা মাথার রাজনীতি করেন তিনি। এতে করে দলের নেতাকর্মীদের মনে আরো দ্বিগুণ স্থান করে নিয়েছেন শামীম ওসমান।
 
তবে বিগত দিনের রাজপথের সেই উত্তপ্ত দিনগুলো শামীম ওসমানের নেতাকর্মীরা খুব অনুভব করেন। সেই রাজপথের রাজনীতিতেই শামীম ওসমানকে বাঘের মত লাগে বলে মনে করেন তারা।