শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

|

জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

প্রার্থী ১৫ জন, ১৪ জনই আওয়ামী লীগের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

প্রার্থী ১৫ জন, ১৪ জনই আওয়ামী লীগের

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৫ জন। এদের মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের।

ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও নেই। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন চারজন। তারা হলেনÑ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার ও রফিকুল ইসলাম নান্নু, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বাবুল হোসেন এবং সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। তারা হলেনÑ উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম, সদস্য মোহাম্মদ মাহাবুব পারভেজ, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মাছুম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম খোকন, কেন্দ্রীয় শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল ফয়েজ শিপন। এ ছাড়া জাকের পার্টির নেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়াও রয়েছেন এ পদের প্রার্থী। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। তারা হলেনÑ উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক কোহিনুর ইসলাম রুমা, সদস্য মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, অ্যাডভোকেট নুরজাহান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেলেনা আক্তার এবং যুগ্ম সম্পাদক ও সনমান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফরিদা পারভীন। 

চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হায়দার বলেন, ‘দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থী হতে পেরেছি। দলীয় প্রতীক থাকলে দল যাকে মনোনয়ন দিত তার পক্ষে কাজ করতাম।’ অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালাম দুইবার নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে নির্বাচন করে পরাজিত হন। তিনি এবারও প্রার্থী হয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেত্রী দলীয় মার্কাবিহীন উপজেলা নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন। স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’ নেত্রীর নির্দেশ মেনে এ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবেন না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেন বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থী হয়েছি। তবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আনন্দঘন ও উৎসবমুখর হবে। সাধারণ ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবেন। আমি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া পাচ্ছি। উপজেলাবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলেনা আক্তার বলেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমি। জনগণ আমাকে চাচ্ছে তাই ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী থাকলেও লাড়াই হবে দ্বিমুখী। আর এ লড়াইটা হবে বাবুল হোসেন ও মাহফুজুর রহমান কালামের মধ্যে। তাদের দুজনেরই জনসমর্থন ও ভোটার রয়েছে। এখন স্থানীয় সংসদ সদস্যের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। তিনি যাকে পছন্দ করবেন তারই জয়ের সম্ভাবনা বেশি।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী অংশ নেননি। যদি কেউ অংশগ্রহণ করত, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। যেহেতু দলীয় প্রতীকবিহীন নির্বাচন, সেক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর পক্ষে আপনাদের সমর্থন থাকবেন কি নাÑ জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের চারজন পদধারী নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলেও এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৪১৪ জন, আর নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৫৪ জন। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে এ উপজেলায় ১৪১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।