ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘ সতেরো বছর আন্দোলন সংগ্রামের পর জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে। আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি থেকে দূরে সরে যাওয়া নেতারা পুনরায় সক্রিয় হচ্ছেন আগামী নির্বাচনকে ঘিরে। অন্যদিকে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা উপেক্ষিত, তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন না কেউ।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপি দীর্ঘ সতেরে বছর রাজপথেই কাটিয়েছে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিএনপির মনোনয়নে এমপি মন্ত্রী হতে চাওয়া নেতারা সেসময় নিজেদের ব্যাবসা বানিজ্য টিকিয়ে রাখতে দল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন।
এদিকে পাঁচ আগষ্টের পর বিএনপির হয়ে অতীতে নির্বাচন করা ও আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ফতুল্লার আলোচিত এক শিল্পপতি নেতা বিএনপি থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। অথচ গত সতেরো বছর আন্দোলন সংগ্রামে তাকে রাজপথে দেখা যায়নি। নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় হলেও দলের ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে টানতে পারেননি তিনি।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ শহরের আরেক আলোচিত ব্যাবসায়ী বিএনপির টিকিটে নির্বাচন করতে চাইছেন। বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জোর আলোচিত ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এই ব্যাবসায়ী নেতা। পাঁচ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর এখন বিএনপির হাল ধরতে সক্রিয় তিনি।
এদিকে ব্যাবসায়ী নেতাদের টাকার জোরে নাস্তানাবুদ দলের দুঃসময়ের কান্ডারীরা। এখন তারা অবহেলিত হয়ে পড়ে আছেন।
দলের তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী বর্তমানে অবহেলিত। পাঁচ আগষ্টের আগেও যাদের ছাড়া বিএনপির কর্মসূচি কল্পনা করা যেত না তারাই এখন দলে কোণঠাসা।
