
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অশ্লীল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবীর অভিযোগে চক্রটির মূলহোতা দিমা আক্তারকে (২১), গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলা লাহাপাড়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সানারপাড় এলাকার মো. রবিন শেখ (৩০) বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক স্ত্রীসহ আরও দুইজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দিমা আক্তার সোনারগাঁও উপজেলার লাহাপাড়া গ্রামের সওকত আলম মুক্তারের মেয়ে।
এজাহার সুত্রে জানাযায়, মামলার ১নং বিবাদী দিবা আক্তার মামলার বাদী মো. রবিন শেখের সাবেক স্ত্রী ও ৩নং বিবাদী মোসাঃ আদিবা ইসলাম সাদিয়ার বান্ধবী। ০২ বছর পূর্বে ০৩নং বিবাদীর সহিত পরিবারের সম্মতিক্রমে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক কাবিন রেজিস্ট্রিমূলে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের ঔরষে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। যাহার নাম রায়হান (০৭ মাস)।
বিবাহের পর প্রায় সময়ই বাদীর সাবেক স্ত্রী তাহার বাসায় বাসায় অবস্থান করায় বিভিন্ন সময়ে স্বামী-স্ত্রীর তাদের ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জা এর মাধ্যমে অডিও ও ভিডিও কলে কথপোকথন হইতো।
উক্ত কথপোকথন কালে সাবেক স্ত্রী অসৎ উদ্দেশ্যে কৌশলে আমাদের কথপোকথনের গোপন ভিডিও তাহার ব্যবহৃত মোবাইলে ধারণ করিয়া রাখে। অতঃপর বাদী একত্রে সংসার করাকালীন গোপনে জানিতে পারে যে, তার সাবেক স্ত্রীর অন্যত্রে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হইয়াছে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি স্ত্রীকে অবহিত করিলে, তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরী হয় এবং একপর্যায়ে ০১ মাস পূর্বে আমি ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক ৩নং বিবাদীকে তালাক প্রদান করেন। তারপর হইতে ৩নং বিবাদী অন্যান্য বিবাদীদের প্ররোচনা ও যোগসাজসে সামাজিক ও মানুসিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার লক্ষ্যে সাংসারিক জীবনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অডিও ও ভিডিও কলের কথপোকথনের ৩নং বিবাদী কর্তৃক পূর্বে ধারণকৃত গোপন (অশ্লীল) ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে, প্ররোচনা ও সহায়তায় ৩নং বিবাদীর নিকট সংরক্ষিত অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি হইতে পোস্ট করিয়া সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয়পতিন্ন করে। পরবর্তীতে বিষয়টি অবগত হইয়া ৩নং বিবাদীসহ অন্যান্য বিবাদীদের সহিত যোগাযোগ করিলে, বিবাদীরা আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টকৃত ভিডিওগুলো ডিলিট করার জন্য নগদ পাঁচ লাখ টাকা দাবী করে এবং আরও বলে যে, “আমাদের দাবীকৃত উক্ত টাকা না পাইলে, তাদের নিকট তোর আরও অশ্লীল ভিডিও রহিয়াছে। যাহা আমরা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তোকে সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয়পতিপন্ন করিবে৷
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিনূর আলম জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় একজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।