
ফাইল ছবি
সিটি বন্ধন পরিবহনের এমডি দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, সিটি বন্ধন পরিবহনে চাষাড়া সহ অন্যান্য কাউন্টারে তালা মারছে বন্ধন পরিবহনের লোকজন। সিটি বন্ধন পরিবহনে বাস কয়েকটা সিটি মুছে দিচ্ছে। আমাকে নামে পেন্ডিং মামলায় নাম দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিজেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের মামলা তদন্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর কেন্দীয় বাস টার্মিনালে সিটি বন্ধন পরিবহনের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর বেলা বিএনপি সরকারের আমলে ক্রশফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী মমিনুল্লাহ ডেভিড এর ভাই মাহাবুল্লাহ তপন এবং তার ভাগিনা নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পরিবহন সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত এবং চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন রানা এদের নেতৃত্বে ২০০/২৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমাদের সিটি বন্ধন পরিবহন লিঃ এর ১নং রেল গেইটস্থ টিকেট কাউন্টারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এবং কাউন্টার দখলের চেষ্টা করে।
আমরা সন্ত্রাসী ও দখল চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন সহ সেনা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার উভয় পেেক্ষর কাগজপত্র পরীক্ষা করে আমাদের অর্থাৎ সিটি বন্ধন পরিবহন লিঃ এর গাড়ী নারায়ণগঞ্জ- ঢাকা রুটে চলাচলের অনুমতি দেন।
আমরা প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার জন্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল হইতে সিটি বন্ধন পরিবহন লিঃ এর বাসগুলি পরিচালনা শুরু করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সেদিনই রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় মিশনপাড়া মোড়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে ২টি গাড়ীর সামনের গ্লাস এবং জানালার সাইড গ্লাসগুলো ভাংচুর করে। গাড়ী নং ঢাকা মেট্রো-ব-১৪- ৩২১৪ ও নং ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-২৩৪৮। আমরা খোজ নিয়ে জানতে পারি যে, এই গাড়ী ভাংচুরের নেতৃত দেয় এবং হামলায় অংশ নেয় মাহাবুল্লাহ তপন ও সাখাওয়াত হোসেন রানা। একইভাবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পাশে লিংক রোডে রাত অনুমান ৯.৩০ ঘটিকায় ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪০০৫ ও ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৫৫২৯ গাড়ী ২টির সামনের গ্লাস এবং জানালার সাইড ব্যাপকভাবে ভাংচুর করে। ড্রাইভার ও হেলপারগণ কর্তৃপক্ষকে জানান ২/৩টি মটর সাইকেল যোগে সন্ত্রাসীরা এসে গাড়ী ভাংচুর করে চলে যায়।
সর্বশেষ গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ৯ ঘটিকায় লিংক রোডের ভূইগড় এলাকায় ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬০২৯৯ ও ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৩৮৪৩ গাড়ী ২টির সামনের গ্লাস এবং জানালার সাইড একইভাবে পূর্বের ন্যায় ভাংচুর করে। ভূইগড় এলাকায় গাড়ী ভাংচুরের সময় ভাংগা গ্লােেসর আঘাতে ১জন মহিলা যাত্রী যার নাম নবনীতা তিনি গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
আমাদের গাড়ীগুলি ভাংচুর করে তাহলে একদিকে আমরা আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ হই। অপরদিকে যাত্রী সাধারণেরও নিরাপদে চলাচলে মারাত্মকভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যে স্থানীয় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি বারবার অবগত করেছি। কিন্তু এরপরেও তপন রানা গংদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ হচ্ছেনা। ফলে আমরা নিরাপদে যাত্রীসেবা দিতে পারছি না এবং আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এ অবস্থায় কিভাবে নিরাপদে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে সিটি বন্ধন পরিবহন লিঃ এর বাসগুলি চলবে সে ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
সরকারের শীর্ষ মহল, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব-১১ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই যে, বাস ভাংচুরের ও বাস চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের তদন্তপূর্বক গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে আমরা নিরাপদে আমাদের পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারব ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করতে পারবো।
৫ই আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের যৌক্তিক কারণে সিটি বন্ধন পরিবহন লিঃ এর মালিকবৃন্দ সর্বোসম্মতভাবে চেয়ারম্যান হিসাবে (বাস মালিক) মোঃ শাহাদাৎ হোসেন খান লিটন, এমডি হিসাবে (বাস মালিক) মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এখানে কোনরূপ দখলের ঘটনা ঘটেনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন লিটন, এমডি দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক সালাউদ্দিন হোসেন, মো: রতন, হাজি মুরাদ হোসেন, মহসিনউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, মহসিন বেপারি, সাদ্দাম হোসেন, মনির হোসেন, সালামত উল্লাহ নাদিম, মো: হেলাল, সাদেকুর ইসলাম, বশির উদ্দিন, শাহিন (২), সমির, আউলাদ হোসেন, রাজু আহমেদ ও হাসান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।