
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বন্দুক ঠেঁকিয়ে সৌদি প্রবাসী সোহরাব হোসেন সৌরভকে হত্যার হুমকির ঘটনায় মামলার বাদিই বন্দুক সঙ্গে নিতে উদ্ধুদ্ধ করে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
সাদিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ভূইয়া বুধবার বিকেলে আমগাঁও এলাকায়ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাদিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাসিরউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী জজ মিয়া, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলােয়ার হোসেন, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ ভূঁইয়া, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আল মামুন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর নুর প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, হত্যা চেষ্টা মামলার বাদি মো. সোহরাব হোসেন সৌরভ তার আপন চাচাতো ভাই। গত সোমবার দুপুরে খালি গায়ে অপ্রস্তুত অবস্থায় বসে ছিলেন। হঠ্যাৎ সৌরভ এসে তাকে জানায়, কিছু অপরিচিত মানুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। অকথ্য ভাষায় তাদেরকে গালিগালাজ করছে। সেখানে গেলে তাকে মেরে লাশ ফেলে রাখবে বলেও জানায়। সেই মূহুর্তে সৌরভ শাহজাহান ভূঁইয়ার লাইসেন্স করা এয়ারগান নিয়ে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তার কথায় আস্থা রেখে তিনি এয়ারগান সাথে নিয়ে বের হন। পুকুর পাড়ে গিয়ে সৌরভের লোকজন ছাড়া অপরিচিত কাউকে তিনি দেখতে পাইনি। সেখানে নিয়ে সৌরভ উল্টা পাল্টা কথা বলে তাকে ধৈর্য্যহারা করে ফেলেন। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে গালিগালাজ করতে থাকেন। শাহজাহান ভূঁইয়ার উচ্চস্বরে কথা বার্তা ভিডিও করে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
তিনি আরো দাবি করেন, পুকুর পাড়ে যাওয়ার সময় মামলার বাদি সৌরভ ও তিনি পাশাপাশি হাটছিলেন। ওই সময়ে তিনি তার সাথে থাকা অস্ত্র উচু করেননি। তাহলে কিভাবে তাকে গুলি করতে গেলেন প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি দাবি করেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি কোনভাবেই সত্য নয়। তাকে ফাঁসানোর জন্য ভুল বুঝিয়ে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈরি করেছেন। সেই ফাঁদে তিনি পড়েছেন। গ্রেপ্তার হয়ে থানা থেকে আদালতে যাওয়ার সময় সৌরভই তার মামলার বাদি তিনি জানতে পারেন। এ ঘটনায় দলের ও নিজের পরিবারের ক্ষতি হওয়ায় তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষির বিচার দাবি করেছেন।