বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

|

আষাঢ় ১১ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে রশিদুল-ইনামুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৬ জুন ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে রশিদুল-ইনামুল

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এ কমিটিতে রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশীদ) সভাপতি ও মো. ইনামুল হাসান সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুঈনুল ইসলাম ও মুখপাত্র পদে সিনথিয়া জাহীন আয়েশা নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ফল ঘোষণা করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত বছরের জুলাই–আগস্টে হওয়া অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল। পরে এই প্ল্যাটফর্ম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম সেভাবে ছিল না। প্ল্যাটফর্মটির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন নেতিবাচক ঘটনার খবর আসছিল। এমন প্রেক্ষাপটে কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হলো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটিতে সভাপতি হওয়া রশিদুল জুলাই অভ্যুত্থানের সময় প্ল্যাটফর্মটির সম্মুখসারির সমন্বয়ক ছিলেন। পরে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছিলেন। সম্প্রতি সেখান থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত ইনামুল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের সম্পাদক ও জুলাই ম্যাসাকার আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

এর আগে গত সোমবার প্রথম কাউন্সিলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্ল্যাটফর্মের সভাপতি পদে রশিদুলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাকির হোসেন মঞ্জু। সাধারণ সম্পাদক পদে ইনামুলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইব্রাহীম নিরব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন মুন্না। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুঈনুলের সঙ্গে প্রার্থী ছিলেন তাসনিম আহমাদ ও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। আর মুখপাত্র পদে সিনথিয়ার সঙ্গে নূপুর আক্তার নোভা ও মো. লিখন হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

গত বছরের ১ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু হয়। তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের নির্বিচার দমন–পীড়নের কারণে সেই আন্দোলন এক পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। সেই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জুলাই অভ্যুত্থানে বিভিন্ন দল-মতের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন মতের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরাও। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর গত বছরের অক্টোবরে সমন্বয়করা এর একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এর পর থেকে অন্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দূরত্ব তৈরি হয়। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা সমন্বয়কদের একটি অংশের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটিকে কুক্ষিগত করার অভিযোগ করে আসছেন।